খেলাধূলা ডেস্ক
রোমাঞ্চকর এক ম্যাচেই গোল হলো সর্বমোট ৫টি। যাতে শেষমুহূর্তে হাসলো অ্যাথলেটিক বিলবাও। ১২০ মিনিটের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ৩-২ গোলে হেরে কোপা দেল রের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলো শিরোপাধারী বার্সেলোনা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে যেন ভিন্ন দুই বার্সেলোনার দেখা মিললো। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেওয়া দলটি এবার পুরোটা সময় নিজেদের হারিয়ে খুঁজলো।
ম্যাচজুড়ে প্রবল চাপ ধরে রেখে দুই দফায় এগিয়ে যায় বিলবাও। বারবার লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি জাভি হার্নান্দেজের দল। ১২০ মিনিটের ‘রোমাঞ্চ’ জিতে কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে বিলবাও।
পুরো ম্যাচে বল দখলে বার্সেলোনা এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে ছিল উল্টো চিত্র। গোলের উদ্দেশ্যে বিলবাও মোট ১৯টি শট নেয়, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ৩১ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার সাত শটের কেবল তিনটি লক্ষ্যে।
সান মামেসে ইকার মুনিয়ানের গোলে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বিলবাও। নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় উঁচু কোনাকুনি শটে দূরের পোস্টে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
বার্সেলোনা অবশ্য পিছিয়ে থাকেনি বেশিক্ষণ। ২০তম মিনিটে দারুণ গোলে সমতা টানেন গত ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ন্যু ক্যাম্পে আসা ফার্নান্দো তোরেস।
সার্জিও বুসকেটসের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে একজনকে কাটিয়ে জোরালো শটে বল জালে পাঠান তরুণ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। বার্সার জার্সিতে এটিই তার প্রথম গোল।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও ম্যাচ যেন গড়াচ্ছিল ড্রয়ের দিকে। ৮৪ মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সেলোনা। দূর থেকে ইনাকি উইলিয়ামসের শট গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ক্রসবারে লাগে।
তবে অপেক্ষা বাড়েনি বিলবাওয়ের। পরের মিনিটেই স্বাগতিকরা উল্লাসে ভাসে। ফ্রি কিক পেয়েছিল বিলবাও, আলেহান্দ্রো রামিরোর হেড স্টেগেনের কোমরে লেগে আটকে গিয়েছিল।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, জেরার্ড পিকের চ্যালেঞ্জে শট নিতে না পারলেও শেষমেশ বলটা ঠিকই ইনিগো মার্টিনেজের পায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়।
ম্যাচের ঘড়িতে তখন চার মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিট শেষ। জয়ের দ্বারপ্রান্তে বিলবাও। কিন্তু নাটকের তখনও আরও বাকি কে জানতো!
অতিরিক্ত সময়ে এসে ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় বিলবাও। ১০৫ মিনিট পেরোনোর পর প্রথম ভাগে যোগ করা সময়ে এসে মুনিয়ানের সফল স্পট কিকে ফের এগিয়ে যায় বিলবাও।
ডি-বক্সে নিকো উইলিয়ামসের শটে বল আলবার হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মুনিয়ান সহজেই বল জালে জড়ান। সেই ব্যবধান আর ভাঙতে পারেনি বার্সা।
Discussion about this post