খেলাধূলা ডেস্ক
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আক্ষরিক অর্থেই বল হাতে আগুন ঝরিয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরাও। তবু অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার হাতে ওঠেনি। অ্যাশেজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে কত চমৎকার মুহূর্তের জন্ম দিয়েছেন, তবু আসেনি পুরস্কারটি। অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘অ্যালান বোর্ডার মেডেল’ জিতলেন মিচেল স্টার্ক। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
গত বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও সংবাদকর্মীদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে বর্ষসেরা ক্রিকেটার। যেখানে মিচেল মার্শকে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ছেলেদের ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ পুরস্কার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন স্টার্ক। বাঁহাতি পেসার পেয়েছেন ১০৭ ভোট, আর মার্শের বাক্সে পড়েছে ১০৬ ভোট। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ট্রাভিস হেড পেয়েছেন ৭২ ভোট।
পুরস্কারটির ২২ বছরের ইতিহাসে এবার দিয়ে দ্বিতীয়বার ১ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার। এর আগে ২০২০ সালে স্টিভেন স্মিথকে একই ব্যবধানে হারিয়ে অ্যালান বোর্ডার মেডেল জিতেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। অন্যদিকে ২০০০ সাল থেকে চালু হওয়া পুরস্কারটিতে মাত্র পঞ্চম পেসার হিসেবে এই মেডেল জিতলেন স্টার্ক। তিনি পাশে বসলেন প্যাট কামিন্স, মিচেল জনসন, ব্রেট লি ও গ্লেন ম্যাকগ্রার।
ওয়ানডের বর্ষসেরাও হয়েছেন স্টার্ক। এই পুরস্কারটি জেতার পথে তিনি হারিয়েছেন ম্যাথু ওয়েডকে।
বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারটি হারালেও টি-টোয়েন্টিতে সেরা মার্শ। বড় ব্যবধানে জিতে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বর্ষসেরা হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। যে সময়ের মধ্যে পুরস্কারের লড়াই হয়েছে, এই সময়কালে অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ২২ টি-টোয়েন্টি। ফলে এই সংস্করণেই আসলে পুরোপুরি লড়াইটা হয়েছে। যদিও মার্শের একক আধিপত্যে একপেশে লড়াই-ই হয়েছে। টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা হওয়ার পথে এই অলরাউন্ডার পেয়েছেন ৫৩ ভোট। দ্বিতীয় হওয়া জশ হ্যাজেলউডের বাক্সে পড়েছে ২৯ ভোট। আর অ্যাশটন অ্যাগার পেয়েছেন ২৬ ভোট।
টেস্টের বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছেন ট্রাভিস হেড। মাত্র ৫ টেস্টের পারফরম্যান্স আমলে নিয়ে করা হয়েছে এবারের পুরস্কারের বিজয়ী। দিনকয়েক আগে শেষ হওয়া অ্যাশেজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ট্রাভিসের হাতে পুরস্কারটি উঠলেও তাকে জোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন স্কট বোল্যান্ড। হেড পেয়েছেন ১২ ভোট, অন্যদিকে মাত্র তিন টেস্ট খেলেই বোল্যান্ডের বাক্সে পড়েছে ১০ ভোট। তৃতীয় হওয়া স্টার্ক পেয়েছেন ৭ ভোট।
এদিকে মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটার ‘বেলিন্ডা ক্লার্ক মেডেল’ জিতেছেন অ্যাশলি গার্ডনার। প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতেছেন ২৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
Discussion about this post