খেলাধূলা ডেস্ক
বোলাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন । কিন্তু আগেই তো বলতে গেলে সব শেষ করে দিয়েছেন ব্যাটাররা। মাত্র ১১১ রানের পুঁজি নিয়ে আর কত লড়াই করা যায়!
ম্যাচ জমানোর মতো লড়াই করতেও পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় হয়ে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
অ্যান্টিগায় ১১২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে ভারত, বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে নাম লিখিয়েছে সেমিফাইনালে।
১ উইকেটে ৭০ রান তোলা ভারতকে অবশ্য নাড়া দিয়েছিলেন বোলাররা। রিপন মন্ডলের তোপে হঠাৎ ৫ উইকেটে ৯৭ রানে পরিণত হয় ভারতীয় যুবারা। কিন্তু লক্ষ্য ছোট হওয়ায় জয় তুলে নিতে কষ্ট হয়নি তাদের। অঙ্কিশ রাঘুবানির ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান।
৩১ রানে ৪টি উইকেট নেন পেসার রিপন মন্ডল। বাকি এক উইকেট আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।
এর আগে ৩৭.১ ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে চ্যাম্পিয়নরা। ১৪ রানে ৩টি আর ৩৭ রান তুলতে ইনিংসের অর্ধেক উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
প্রথম ৭ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র একজন (আইচ মোল্লা ১৭) ছুঁতে পেরেছেন দুই অংকের কোটা। বাকিরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যে।
মাহফিজুল ইসলাম (২), ইফতিখার হোসেন (১), প্রান্তিক নওরোজ নাবিল (৭), আরিফুল ইসলাম (৯), মোহাম্মদ ফাহিমের (০) পর অধিনায়ক রাকিবুলও (৭) দলের হাল ধরতে পারেননি।
৫৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম লজ্জার মুখে পড়তে যাচ্ছিল চ্যাম্পিয়ন যুবারা। সেখান থেকে দলকে কোনোমতে একটা জায়গা পর্যন্ত নিয়ে গেছেন লোয়ার অর্ডারের এসএম মেহরব আর আশিকুর জামান। মেহরব ৪৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩০ আর আশিকুর ২৯ বলে করেন ১৬ রান।
ভারতীয় যুব দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রবি কুমার। ১৪ রান দিয়ে তিনি নেন ৩টি উইকেট। ২ উইকেট শিকার ভিকি ওস্তালের।
Discussion about this post