খেলাধূলা ডেস্ক
গত বছর অক্টোবরে আর্সেনালের হয়ে সর্বশেষ গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি । এরপর গানারদের হয়ে আর কোনো গোলেরই দেখা পাননি। কিন্তু বার্সেলোনার জার্সি যেন সেই জাদুর কাঠি, যার ছোঁয়ায় নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন পিয়েরে অ্যামেরিক অবামেয়াং। ভ্যালেন্সিয়ার মত শক্তিশালী দলের বিপক্ষে করলেন হ্যাটট্রিক।
তার হ্যাটট্রিকে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে গিয়ে তাদেরকেই ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে এসেছে বার্সেলোনা। সে সঙ্গে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো কাতালানরা।
২৪ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৪২। যদিও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদেরও পয়েন্ট সমান। তবে, তারা ম্যাচ খেলেছে একটি বেশি। গোল ব্যবধানেও পিছিয়ে। যে কারণে বার্সা চার নম্বরে এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ পাঁচ নম্বরে। ২৫ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেভিয়া দুইয়ে এবং রিয়াল বেটিস রয়েছে তিন নম্বরে।
চলতি মৌসুমে নিজের ৮ম, ৯ম এবং ১০ম গোল করলেন অবামেয়াং। তবে সবচেয়ে বড় কথা, লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর বার্সার জার্সি গায়ে কেউ হ্যাটট্রিক পাবে এটা যেন ভুলেই গিয়েছিল সবাই। অবামেয়াং অবশেষে সেই ভুলে যাওয়া স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনলেন। মেসির পর বার্সার জার্সিতে এই প্রথম কেউ হ্যাটট্রিক করলো।
লিগ ওয়ান, বুন্দেসলিগা, প্রিমিয়ার লিগের পর এবার লা লিগায় গোল পেলেন অবামেয়াং। বার্সার হয়ে অন্য গোলটি করেছেন ফ্রাঙ্কি ডি জং। ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি এসেছে কার্লোস সোলারের পা থেকে। মাত্র ৬টি অন টার্গেটে শট নিয়ে ৪টি গোল করেছে বার্সা! সর্বশেষ তিন ম্যাচে মোট ১০টি গোল পেয়েছে জাভির শিষ্যরা।
মেস্তায়ায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে আর্সেনালের জার্সি গায়ে এর আগে ২০১৯ সালের ৯ মে যে ম্যাচ (ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে) খেলেছিলেন অবামেয়াং, সেই ম্যাচেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। আবারও যখন মেস্তায়ায় এলেন তিনি, এসেই করলেন হ্যাটট্রিক। অর্থ্যাৎ, ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তাদেরই মাঠে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করলেন তিনি।
ম্যাচ শেষে বার্সা অধিনায়ক সার্জিও বুস্কেটস বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে আমাদের যে দুর্বলতাগুলো ছিল, সেগুলো কাটিয়ে আমরা নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করেছি।’
অবামেয়াংয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, অবামেয়াং হচ্ছেন সেই খেলোয়াড়, যাকে এতদিন আমরা মিস করছিলাম। তিনি একজন ভালোমানের খেলোয়াড়, যিনি প্রচন্ড ক্ষুদা নিয়ে এসেছেন বার্সায় এবং একের পর এক গোল করার প্রত্যয় রয়েছে তার মধ্যে। কারণ, আগের ক্লাবে তিনি সেই সুযোগটা ঠিকমত পাননি। এটা তার জন্য এবং আমাদের দলের জন্যই বড় একটি রিল্যাক্সের ব্যাপার।’
অবামেয়াং নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন পেদ্রির ডিফ্লেকশনের কারণে। যার ফলে গোলটি চলে যায় অবামেয়াংয়ের নামে। ম্যাচের ২৩, ৩৮ এবং ৬৩তম মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। ৩২ মিনিটে একটি গোল করেন ফ্রাঙ্কি ডি জং। ৫২ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন কার্লোস সোলার।
Discussion about this post