খেলাধূলা ডেস্ক
বাফুফের অধীনেই কয়েক বছর ধরেই আবাসিক ক্যাম্প করছে নারী ফুটবলাররা। আবাসিক ক্যাম্প করলেও সেটি নারী ফুটবল অ্যাকাডেমি হিসেবে বাফুফে কখনো ঘোষণা করেনি।গতকাল (সোমবার) বিকেলে বাফুফে ভবনে হঠাৎ জানা গেল বাফুফের নারী ফুটবল অ্যাকাডেমি এএফসির এলিট ক্যাটাগরি ১ এর স্বীকৃতি পেয়েছে।
নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন হলেও সামগ্রিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি। সেই পল স্মলি এই স্বীকৃতি আনার পেছনে কাজ করেছেন, ‘১১ টি ক্রাইটেরিয়া রয়েছে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ। এজন্য আমরা কয়েক মাস ধরে কাজ করছিলাম। তারা সব কিছু বিচার বিবেচনা করেই এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।’
বাফুফে মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এএফসির মহিলা উইংয়েরও চেয়ারম্যান। তিনি এই স্বীকৃতি সম্পর্কে বলেন, ‘এটা আমাদের নারী ফুটবলের জন্য বিশেষ অর্জন। এশিয়ার ফুটবলে অনেক শীর্ষ দেশের নারী ফুটবল অ্যাকাডেমি থাকলেও তাদের এই এলিট ক্যাটাগরি এক এর স্বীকৃতি নেই। যেটা আমরা পেয়েছি, এটা দারুণ অর্জন।’
এই স্বীকৃতি অর্জনের ফলে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা থেকে বাফুফের কিছু বাড়তি আর্থিক সাহায্য ও ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট পাওয়ার কথা। সেই বিষয়টি অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ফুটবল ফেডারেশন।
বাফুফে কয়েক মাস আগে কমলাপুর স্টেডিয়ামে পুরুষ ফুটবলারদের নিয়ে অ্যাকাডেমি শুরু করেছে। সাধারণ আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হলেও এটিকে বাফুফে এলিট অ্যাকাডেমি নাম দিয়েছে। সেই এলিট অ্যাকাডেমির আগেই নারী ফুটবল অ্যাকাডেমি এএফসির স্বীকৃত পেল। বাফুফে এএফসি-ফিফার সাথে পত্রাদি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে না। আজ এএফসি থেকে স্বীকৃতি পাওয়া পত্র অবশ্য মিডিয়ায় সরবারহ করেছে বাফুফে।
Discussion about this post