খেলাধূলা ডেস্ক
জয় দেখছিল পাকিস্তান। কিন্তু জয়ের খুব কাছে থেকে পথ হারিয়েছে স্বাগতিক শিবির। নাথান লায়নের স্পিন বিষ ও প্যাট কামিন্সের পেস তোপে গুঁড়িয়ে গেল পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনের নাটকে শেষ সেশনে বাজিমাত করে অস্ট্রেলিয়া। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অজিদের জয় ১১৫ রানে।
দুর্দান্ত এই জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতল অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে তিনটি অপেক্ষার অবসান হলো অস্ট্রেলিয়ার। ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতল অজিরা। তবে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সিরিজ জয় হলো দুই দশক পর। ২০০২ সালে নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে জিতেছিল তারা। আর এশিয়ার মাটিতে ১১ বছর পর টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
রাওয়ালপিন্ডি ও করাচি টেস্ট নিরুত্তাপ ড্র হয়েছে। লাহোরে টেস্টের শেষ দিনের জন্য হয় সব রোমাঞ্চ। আজ শেষ দিন জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১০ উইকেট। আর পাকিস্তানের ২৭৮ রান। ৩১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ১৭০ রান তুলে ফেলেছিল পাকিস্তান। এরপর ৩ উইকেটে ২৪৮ রান পর্যন্ত জমা করে স্বাগতিকেরা।
এরপরই ভয়ংকর ধস। ২০ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৫ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ধসিয়ে দিয়েছেন নাথান লায়ন। ৩টি প্যাট কামিন্সের। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর শিকার হলো ৮টি, যা তাঁর হাতে তুলে দেয় ম্যাচ-সেরার পুরস্কার। আর ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছড়ানো উসমান খাজার হাতে ওঠে সিরিজ-সেরার স্মারক।
রান তাড়ায় ওপেনার ইমাম-উল-হক আউট হন ১১ রানে। পরে আব্দুল্লাহ শফিক ও আজহার আলি যোগ করেন ১৫০ রান। জুটি ভাঙতেই পথ হারায় পাকিস্তান। শফিক ৮১ রানে বিদায় নেন। আজহার ফেরেন ৭৮ রানে। এরপর অধিনায়ক বাবর আজমের ব্যাটে শুরু হয় নতুন লড়াই। এক প্রান্ত আগলে রেখে অনেক দূর তিনি গিয়েছিলেন। ততক্ষণে অন্য প্রান্তে লেগে যায় মড়ক।
নবম ব্যাটার হিসেবে বাবর আউট হন ৬৭ রানে। ১১ রানে বিদায় নেন ফাওয়াদ আলম। পাকিস্তানের শেষের ছয় ব্যাটারের মধ্যে রানের খাতা খুলতে পারেননি চারজন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৩৯১ ও ২২৭/৩ (ডি.)
পাকিস্তান: ২৬৮ ও ৩৩৫
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১১৫ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ১-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)
সিরিজ-সেরা: উসমান খাজা (অস্ট্রেলিয়া)
Discussion about this post