খেলাধূলা ডেস্ক
ডারবানে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টে সবার নজর কেড়েছে স্বাগতিক দেশের দুই আম্পায়ারের পক্ষপাতমূলক আচরণ। বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের কোনো আবেদনে সাড়া না দেওয়ার শপথ করেছিলেন যেন মারাইস এরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক।
রোববার ম্যাচের চতুর্থ দিন প্রথম দুই উইকেটের নিশ্চিত আবেদনে আউট দেননি আম্পায়ার। সেগুলোতে রিভিউ নিয়ে উইকেট আদায় করে বাংলাদেশ। পাশাপাশি আরেকটি নিশ্চিত আউটেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। সেটিতে রিভিউ না নেওয়ার হতাশায় পোড়ে বাংলাদেশ।
দিনের খেলা শেষে তাই সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবেই আসে আম্পায়ারিং প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও খোলামেলাই সমালোচনা করেছেন আম্পায়ারদের। তার মতে, আম্পায়ারিং ঠিক থাকলে ২৭৪-র বদলে ১৮০ রানের টার্গেট পেতো বাংলাদেশ।
আম্পায়ারিংয়ের বিষয়ে সুজন বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি মনে করি আম্পায়ার একটা বড় ভূমিকা পালন করেন। টেস্ট ম্যাচের জন্য একটা সিদ্ধান্ত অনেক কিছু নির্ভর করে আসলে। সকাল থেকে সবাই দেখেছেন আম্পায়ারিং, এটা তো লুকানোর কিছু নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে যেটা আগে যদি পেতাম, তাহলে হয়তো ২৭০’র বদলে এখন ১৮০ তাড়া করতাম। আম্পায়ারদের সবসময় শ্রদ্ধা, তারা মাঠে বিচারক। আমাদের মেনে নিতে হবে সব সময়ই। তবে এত অধারাবাহিক আম্পায়ারিং অনেক দিন পর দেখলাম সত্যি কথা বলতে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ারদের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখে পারিবারিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব আল হাসানও মুখ খুলেছেন। তিনি আইসিসির কাছে দাবি তুলেছেন, পুনরায় নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে খেলা চালানোর ব্যাপারে।
একই কথা বললেন সুজন, ‘এখন তো সারা বিশ্বই খুলে গেছে (কোভিড বিরতির পর)। নিরপেক্ষ আম্পায়ার দেওয়ার ব্যাপারটা আশা করি আইসিসি দেখবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং বাধ্যতামূলক রাখেনি আইসিসি। এখন স্বাগতিক দেশেরই দুই আম্পায়ার মিলে পরিচালনা করেন যেকোনো ম্যাচ।
Discussion about this post