খেলাধূলা ডেস্ক
স্টামফোর্ড ব্রিজে করিম বেনজেমা শো দেখেছিল দর্শকরা। এবার নিজেদের মাঠেও ফিরতি লেগে শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন ফ্রেঞ্চ ম্যান। তাতেই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকা চেলসিকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো সবচেয়ে সফল দলটি। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে চেলসি রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩-২ গোলে রিয়ালকে হারিয়েছে ঠিকই। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় পিছিয়ে থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় নিতে হয়েছে।
দিনের অন্য ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বায়ার্ন মিউনিখ বিদায় নিয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে অগ্রগামী থেকে স্প্যানিশ দলটি ২০০৫ সালের পর আবারও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিরিক্ত সময়ে রিয়াল দ্বিতীয় গোল করে ছিটকে দেয় চেলসিকে। ৯৬ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ক্রসে করিম বেনজেমা জোরালো হেডে জাল কাঁপান।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যেতে পারতো। ১১ মিনিটে বক্সের কয়েক গজ বাইর থেকে করিম বেনজেমার ফ্রি-কিক ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি।
তবে ৩ মিনিট পরই চেলসি এগিয়ে যায়। টিনো ভার্নারের পাসে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে ম্যাসন মন্তের ডান পায়ের জোরালো শট গোলকিপারের বা দিক দিয়ে জাল কাঁপায়। ৩৪ মিনিটে রুডিগারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে চেলসি ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
বিরতির পর খেলা বেশ জমে ওঠে। দুই দলই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলতে থাকে। এর মধ্যে চেলসি ব্যবধান বাড়াতে সময় নেয়নি। ৬১ মিনিটে ম্যাসন মন্তের ক্রসে রুডিগার দারুণ জোরালো হেডে জাল খুঁজে নেন।
৬২ মিনিটে চেলসির জালে রিয়াল বল স্পর্শ করলেও গোল হয়নি। ভিএআর দেখে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। চার মিনিট পর ফারলান্ডো মেন্ডির ক্রসে করিম বেনজেমার হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে ব্যবধান কমানো যায়নি।
৭৫ মিনিটে চেলসি তৃতীয় গোল করে রিয়ালকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। টিমো ভার্নার বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে জোরালো শট নিলে তা গোলকিপার কোর্তোয়ার হাতে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
৮০ মিনিটে রিয়াল এক গোল শোধ দিলে ম্যাচ জমে ওঠে। লুকা মদরিচের এসিস্টে রদ্রিগো চলতি বলেই লক্ষ্যে ডান পা চালিয়ে দেন। তাতেই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দলটিই জায়গা করে নিয়েছে সেমিফাইনালে।
Discussion about this post