খেলাধূলা ডেস্ক
করোনায় জৌলুস হারিয়ে বসেছিল আইপিএল। ছিল না কোনও সমাপ্তি অনুষ্ঠান। এবার অবশ্য বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে। তবে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার টুর্নামেন্ট হিসেবে পরিচিত আইপিএলে অর্থবৃষ্টির কমতি ছিল না। এবারই যেমন চ্যাম্পিয়ন দল গুজরাট টাইটান্স পেলো ২০ কোটি ভারতীয় রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকার কিছু বেশি।
রানার্সআপ দল রাজস্থান রয়্যালসেরও হতাশ হওয়ার কথা নয়। তারা পেয়েছে ১২.৫ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার বেশি।
পুরস্কার পাচ্ছে তৃতীয় স্থান অধিকারী দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরও। তারা পেয়েছে ৭ কোটি রুপি। যা বাংলাদেশি টাকায় ৭ কোটি ৯১ লাখের বেশি। চতুর্থ হওয়া লখনউ সুপার জায়ান্টস পেয়েছে ৬.৫ কোটি রুপি। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্যমান ৭ কোটি ৩৪ লাখের বেশি।
টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা তারকারাও পেয়েছেন অর্থ পুরস্কার। কমলা টুপি বা সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে জস বাটলার (৮৬৩ রান) পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি বা ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার কিছু বেশি। বেগুনি টুপি বা সবচেয়ে বেশি উইকেট (২৭) শিকারি যুজবেন্দ্র চাহালও পেয়েছেন সমপরিমাণ অর্থ।
উদীয়মান তারকার খেতাব জুটেছে কাশ্মিরি পেসার উমরান মালিকের। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি বা ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকার বেশি।
মৌসুমের সবচেয়ে বেশি মূল্যবান ক্রিকেটারও জস বাটলার। সেজন্য ইংলিশ তারকা পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি। বেশি ছক্কা (৪৫টি) হাঁকানো ব্যাটার ও গেম-চেঞ্জারও তিনি। দুটোতেই পেয়েছেন একই পরিমাণ অর্থ। সুপার স্ট্রাইকারের খেতাব জেতা বেঙ্গালোর তারকা দিনেশ কার্তিক (১৮৩.৩৩) পেয়েছেন টাটার গাড়ি। প্লেয়ার অব দ্য ফাইনালের খেতাব জেতা হার্দিক পান্ডিয়া পেয়েছেন ৫ লাখ রুপি বা ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেশি।
ফাইনালে সবচেয়ে দ্রুত গতির বল ছুড়ে খেতাব জিতেছেন লকি ফার্গুসনও। উমরান মালিককে পেছনে ফেলা ডেলিভারিটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৭.৩ কিলোমিটার। এই পুরস্কারের মূল্য ১০ লাখ ভারতীয় রুপি।
Discussion about this post