খেলাধূলা ডেস্ক
‘এই লম্বা সময়ে আমার মনে পরে না চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে অন্য কোনো গোলরক্ষক এতটা নির্ণায়ক হতে পেরেছে।’
কিংবদন্তী গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের এই টুইটের থিবো কোর্তোয়ার মাহাত্ব বোঝাতে আর কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। ফাইনালে ৯টি সেভ দেওয়া এই গোলরক্ষকের হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মুকুট আবারও ফিরে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। যেনো গোলকিপার নন, দেওয়াল হয়ে ছিলেন তিনি।
একদিকে যেখানে মোহামেদ সালাহ প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিলেন, তো অন্য দিকে কোর্তোয়া ছিলেন নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায়, ছিলেন প্রাপ্য সম্মানের খোঁজে। পণ করে নেমেছিলেন, আজ (পরশু) রাতে কেউই তাকে অতিক্রম করতে পারবে না। ২০১৮ সালে রিয়ালে আসার প্রথম বছর হাজারো ট্রলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। সেই কোর্তোয়া এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া তৃতীয় গোলরক্ষক। যে ফাইনালের জন্য ভাইয়ের বিয়েতে পর্যন্ত উপস্থিত থাকেননি বেলিজিয়ান গোলরক্ষক।
জয়ের পর রিয়ালের অতন্দ্র প্রহরী বলেন, ‘ক্যারিয়ারে যত পরিশ্রম করেছি, এরপর অন্তত একটা (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনাল জেতা দরকার ছিল আমার। আমার নামের ওপর মানুষের সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্যও। কারণ, আমার মনে হয়েছে আমি আমার প্রাপ্য সম্মানটা পাইনি। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সত্যি আমি গর্বিত। দলের প্রয়োজনে যখনই দরকার পড়েছে তখনই আমি ছিলাম।’
এমন দানবীয় পারফরম্যান্সের পর কোর্তোয়াকে সম্মান দিয়ে কথা বলবে না এমন লোক এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিপক্ষ কোচ ইউর্গেন ক্লপ যেমনটা বললেন, ‘গোলরক্ষক যখন ম্যাচ সেরা হয়, তখন ভুলটা আমাদেরই ছিল।’ এখন আর ট্রল নয়, কোর্তোয়ার থেকে অনুপ্রেরণাটাই বেশি নিতে চাইবে মানুষ।
Discussion about this post