খেলাধূলা ডেস্ক
কুড়ি ওভারের ফরম্যাটটা এখনো ঠিকঠাক আয়ত্বে আনতে পারেনি বাংলাদেশ দল। বলা যায়, ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে সিরিজ হার। তিন ম্যাচের সিরিজে শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৫ উইকেটে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংকে। তবে লিটন দুষছেন ব্যাটসম্যানদের। পাওয়ার হিটিং আর বড় ছয় মারতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন। এই ওপেনার মনে করেন, বিশ্বকাপেও এই অক্ষমতা ভোগাবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ৫ উইকেটে হারের পর লিটন নিজেদের অক্ষমতা স্বীকার করেছেন। তিনি মনে করেন, এখন থেকেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে ৪ মাস পর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপে ভালো করা সম্ভব হবে না, ‘ভালো ভালো দলগুলো থেকে আমরা অনেকখানি পিছিয়ে আছি, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। আমাদের অনেক জায়গায় কাজ করার আছে। বিশেষ করে, যেটা বললাম আমরা পাওয়ারফুল ক্রিকেট খেলতে পারি না।’
লিটানের মতে, টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘অনেকেই বলে টি-টোয়েন্টি স্কিলের খেলা, আবার টেকনিক ও ট্যাকটিকের খেলা। কিন্তু আমি মনে করি, অনেক সময় পাওয়ার হিটিং খুব জরুরি। এই জিনিসটাতে আমরা অনেকখানি পিছিয়ে।’
সঙ্গে যোগ করেন লিটন, ‘তারা জেনেটিক্যালি অনেক পাওয়ারফুল, যেটা আমি না বা আমাদের টিমের কেউই না। তারা চাইলে বড় গ্রাউন্ডসের ওপর দিয়ে ছয় মেরে দিতে পারে যেটা আমি বা আমাদের টিমের কেউই ক্যাপাবল না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আপনারা দেখবেন, আমাদের কিন্তু চারই বেশি হয়। ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্যটা সবসময় থাকে।’
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে পথ হারিয়েছিল উইন্ডিজ। তবে ওপেনার কাইল মায়ার্স আর অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ক্যারিবীয়রা। ৩২ বলে ফিফটির দেখা পান মায়ার্স। পরে ৩৮ বলে ২টি চার আর ৫টি ছয়ের মারে ৫৫ রান করেন তিনি। ৩১ বলে ফিফটির দেখা পান পুরান। ৩৯ বলে হার না মানা ৭৪ রানের ইনিংসে মারেন সমান ৫টি করে চার-ছয়।
এই অক্ষমতা কাটিয়ে না উঠলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে মনে করেন তিনি, ‘বিশ্বকাপ যেখানে হবে, সেখানে মাঠ অনেক বড়। সুতরাং এটা (পাওয়ার হিটিংয়ে অক্ষমতা) আমাদের ভোগাবে। আমরা যত প্রস্তুতি নিতে পারবো ও বেশি ম্যাচ খেলতে পারবো, আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারবো বিশ্বকাপে।’
Discussion about this post