খেলাধূলা ডেস্ক
দুর্দান্ত গতি আর দারুণ সুইংয়ে ইংলিশ ব্যাটারদের হারিয়েছেন ভারতের পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১১০ রানেই অলআউট স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারত ১৮.৪ ওভারে ১০ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।
ওভালে ১১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার মিলেই খেলা শেষ করেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। ৪৯ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছে শেষ পর্যন্ত ৭৬ রানে থামেন এই ওপেনার।৭ চার ও ৫ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। শেখর ধাওয়ান ৫৪ বলে খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। আর তাতেই ইংলিশদের প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে হারের স্বাদ দেয় ভারত। এর আগে ওভালেই ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল কপিল দেবের ভারত।
এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রোহিত শর্মার দল। উইকেটে ঘাস ছিল, এমন উইকেট পেসারদের জন্য স্বর্গ। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিখুঁত বোলিংয়ে পুরোপুরি সুবিধা আদায় করে নেয় বুমরাহ-সামিরা। দ্বিতীয় ওভারে বুমরাহ জেসন রয়কে (০) বোল্ড ও জো রুটকে (০) উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান। তৃতীয় ওভারে সামির শিকার বেন স্টোকস (০)। ২০১৮ সালের পর ইংল্যান্ডের প্রথম চার ব্যাটার রানের খাতা না খুলে আউট হন।
৭ রান করা জনি বেয়ারস্টোও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বুমরাহর তৃতীয় ওভারে পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে বুমরাহ তৃতীয় শিকার হন বেয়ারস্টো। পরের ওভারে বুমরাহর শিকার লিভিংস্টোন (০)। সবমিলিয়ে ২৬ রান তুলতেই ইংলিশরা হারায় ৫ উইকেট। ৬ষ্ঠ উইকেটে মঈন আলী ও জস বাটলার মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৮ বলে ১৪ রান করে মঈন আলীকে সাজঘরের পথ দেখান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।ফলে তাদের ২৭ রানের জুটি ভাঙ্গে। এরপর ৩০ রান করা বাটলার সামির বলে আউট হন। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৮ উইকেটে ৬৮। সেখান থেকে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৫ রানের জুটি গড়েন ডেভিড উইলি ও ব্রেন্ডন চেজ। তাদের ৪১ বলে ৩৫ রানের জুটিতে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারে ইংল্যান্ড। চেজ ১৫ ও উইলি ২১ রান করেন। ২৫.২ ওভারে ইংলিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১০।
১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বুহরাহ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ের মাইলফলকে পৌঁছান। এছাড়া সামি ৩১ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। অপর উইকেটটি নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
Discussion about this post