ক্রীড়া ডেস্ক
করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে বিরাজ করছে স্থবির অবস্থা। ইতোমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা তিন হাজার ছুঁই ছুঁই, মৃত্যু পেরিয়েছে শতকের কোটা। অস্থিতিশীল অবস্থায় পুরো দেশে চলছে লকডাউন। মারাত্মক এই ছোঁয়াচে ভাইরাসের ভয়ে চেনা মানুষগুলোও অচেনায় পরিণত হচ্ছে, কেউ এগিয়ে আসছে না অপরের বিপদে। করোনায় চেনা-অচেনার ভিড়ে মানুষের ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মীরা। পুলিশের এমন আত্মত্যাগকে কুর্নিশ করলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
প্রাদুর্ভাবের প্রায় তিন মাসের মধ্যেই পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ৮ মার্চ করোনা রোগি শনাক্ত হয়। শনাক্তের মাত্র এক মাসের মধ্যেই তিন হাজার ছুঁয়েছে সংক্রমিত রোগির সংখ্যা। মারাত্মক এই ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলছে লকডাউন। থমকে যাওয়া দেশের এই অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনাচরণ। এমতাবস্থায় মানুষের সাহায্য করছে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। করোনাকালে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের এমন অসামান্য অবদানের গুণ কীর্তন করলেন মাশরাফি।
একটি ভিডিও বার্তায় পুলিশের বন্দনায় মাশরাফি বলেন, ‘প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস রোধে বাংলাদেশ পুলিশের অবদান অসামান্য। সরকারি নিয়মানুযায়ী লকডাউনের কার্য সম্পাদন করেই কেবল থেমে থাকেননি পুলিশের সদস্যরা; বরং এগিয়ে এসেছেন ত্রাণ সহায়তায়। করোনা ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক দেওয়া পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুলিশ হাতে নিয়েছে। এমনকি ডাক্তারদের যাতায়াতেও সহযোগিতা করছে পুলিশ।’
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগির জানাজা কিংবা দাফনে আসছে না তার স্বজনসহ এলাকাবাসীরা। এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করছেন পুলিশের সদস্যরা। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ খাতে অনুদান প্রদান করেছেন পুলিশের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘করোনায় মৃত ব্যক্তির জানাজা, দাফন-কাফনের বিষয়টিও দেখছে পুলিশ। এমনকি তাদের প্রাপ্য বৈশাখী ভাতা ও একদিনের বেতনসহ প্রায় বিশ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন।’
বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মাশরাফি, ‘এমন অসামান্য অবদানের জন্য পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনারা এভাবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। আমরা সবাই সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করি এবং বাংলাদেশ পুলিশকে সাহায্য করি।’
Discussion about this post