খেলাধূলা ডেস্ক
এবার ৭টি ক্যাটাগরিতে ২০২২ সালের শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার দেয়া হলো ৯ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২টি প্রতিষ্ঠানকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গনভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেনন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান অতিথির অনুমতিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিজয়ীদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন। এরপর প্রদর্শন করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর জীবনী নিয়ে তৈরী করা প্রমান্য চিত্র ‘এক আলোর পথযাত্রী শেখ কামাল’।
পরে ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী হাবলু ও বর্ষিয়ান ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ। এরপর অনুষ্ঠনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের মনোনীত ৭টি ক্যাটাগরির ৯ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ২টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটার লিটন কুমার দাসের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তার স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা। এছাড়া একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করেন শ্যুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি ও ভারোত্তোলক মোল্লা সাবিরা সুলতানা।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন আর্চার দিয়া সিদ্দিকী ও ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। পেসার শরীফুল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে জিম্বাবুয়ে সফরে থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ভাই আশরাফুল ইসলাম।
ক্রীড়া সংগঠক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পরিকল্পনাকারী ও সংগঠক মো: সাইদুর রহমান প্যাটেল ও আবাহনী ক্রীড়া চক্রের নারী বিষয়ক ক্রীড়া সম্পাদক নাজমা শামীম।
ক্রীড়া এসোসিয়েশন/ফেডারেশন/ক্রীড়া সংস্থা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ)। বিওএ’র পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণে করেন সংস্থাটির সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানির পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন উপদেষ্টা নাসির আহমেদ চৌধুরী। ক্রীড়া সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে বর্ষিয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক কাশীনাথ বসাকের হাতে তুলে দেয়া হয় শহীদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার ২০২২।
সবশেষে আজীবন সম্মাননা তুলে দেয়া হয় ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আবাহনী সমাজ কল্যাণ সমিতি গড়ে তোলা সংগঠক হারুনুর রশীদের হাতে। ১৯৭২ সালে তরুণ মেধাবী ক্রীড়া সংগঠক শেখ কামালের নেতৃত্বে ওই কল্যাণ সমিতি রপান্তরিত হয় ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ হিসেবে। ওই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন হারুনুর রশীদ।
পরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার আগে ‘শেখ কামাল’ শীর্ষক সচিত্র স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য, শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছর প্রথমবারের মত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারের প্রবর্তন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০২০ সাল থেকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মত সরকারীভাবে শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন শুরু করে এবং মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শেখ কামালের জন্মদিন ৫ আগস্টকে ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
Discussion about this post