খেলাধূলা ডেস্ক
ন্যু ক্যাম্প যেন এমন এক মহারাজার অভাবই বোধ করেছে একটা মৌসুম। লিওনেল মেসি যাওয়ার পরের মৌসুমটায় দলের ‘টালিসমান’ হতে পারেননি কেউ। এমন অনেক ম্যাচ গেছে, প্রয়োজনের মুহূর্তে একটা গোল করে নায়ক বনে যেতে পারেননি কেউ। সেই নায়কটা যেন বার্সেলোনা পেয়ে গেছে এবার। টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল করে রবার্ট লেভান্ডভস্কি অন্তত আভাস দিচ্ছেন তারই।
আজ পোলিশ এই স্ট্রাইকার করেছেন দুটো গোল, যার প্রথমটাকে দুর্দান্ত বললে দ্বিতীয়টাকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলতেই হবে। সঙ্গে পেদ্রি গনজালেস আর সার্জি রবার্তোর লক্ষ্যভেদে রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সা।
আগের সপ্তাহেও জোড়া গোলের দেখা পেয়েছিলেন লেভান্ডভস্কি। তবে সেটা অবশ্য বার্সার নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ছিল না। ভায়াদোলিদের বিপক্ষে লেভা পেলেন সে সুযোগটা। তা যেন লুফেই নিলেন। শুরু থেকে আক্রমণে সপ্রতিভ ছিলেন তিনি, ছিল বার্সাও।
ছয় মিনিটের মাথায় তার গোলের পথ আগলে দাঁড়ায় দুর্ভাগ্য। দারুণ এক হেডার প্রতিহত হয় পোস্টে, গোলরেখা ছুঁয়েও বলটা যায়নি ভেতরে। তবে ২৪তম মিনিটে আর দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তার। রাফিনিয়ার বাড়ানো দারুণ এক ক্রসে দারুণভাবে পা ছুঁইয়ে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পান লেভা।
বার্সেলোনার আক্রমণে এদিন উসমান দেম্বেলেও আলো ছড়িয়েছেন বেশ। বিরতির একটু আগে দ্বিতীয় গোলটা এল তার জোগান থেকেই। তার বাড়ানো বলটা পেদ্রি আয়ত্বে নিয়ে দারুণ এক ফিনিশে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্সার। ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় কাতালানরা।
বিরতির পরেও একই ছন্দে এগিয়েছে খেলা, ভায়াদোলিদ গোলমুখে কেবল আক্রমণই করে গেছে বার্সা। তবে স্বাগতিকদের তৃতীয় গোলের দেখা পেতে পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৫ মিনিট পর্যন্ত।
লেভান্ডভস্কির অবিশ্বাস্য সেই গোলের সুবাদে ব্যবধান ৩-০ করে বার্সা। বল পায়ে আগুয়ান দেম্বেলে বক্সের একটু সামনে বল ছাড়েন পোলিশ টালিসমানের কাছে। বক্সে গিয়ে এক ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিল না তার সামনে। সেখান থেকে বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যাকহিলে গোলরক্ষক জর্ডি ম্যাসিপকে বোকা বানিয়ে বলটা জালে জড়ান তিনি।
এ পর্যন্ত একমুখী আক্রমণের ফলে বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন কোনো সুযোগই পাননি কিছু করে দেখানোর। ৬৫ মিনিটের পর টানা কয়েকটা শট ঠেকিয়ে বার্সাকে বিপদমুক্ত করেন তিনি।
Discussion about this post