খেলাধূলা ডেস্ক
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনাল ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের মেয়েরা।
ম্যাচের শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রান তুলে টাইগ্রেসরা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৩ রান তুলেছে আইরিশরা।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান লরা ডেনলি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ রান করে করেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানা জ্যোতি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে রুমানা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোর বাড়িয়ে নেন ওপেনার ফারজানা হক পিংকি। ২১ রানে আউট রুমানা। এরপর একপ্রান্তে পিংকি আপনতালে খেলতে থাকলে অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারছিলে না কেউই।
ব্যাট হাতে বক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন পিংকি। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৬১ রান। ৫৫ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি সাতটি চারে সাজানো।
আইরিশদের হয়ে ডেলানি নেন ৩ উইকেট, এছাড়া আরলেনি কেলি এবং চারা মুরাই নেন দুই উইকেট করে।
১২১ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। পে অর্ডারের কোন ব্যাটারই পাননি দুই অঙ্কের রানের দেখা। এরপর ইমিয়ার রিচার্ডসন এবং ম্যারি ওয়ালডল দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
শেষদিকে আরলিনে কেলি এবং চারা মুরারি জুটি গড়ে ম্যাচকে জমিয়ে তোলেন। তবে শেষ ওভারে নাহিদার বোলিং দৃঢ়তায় দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে পারেননি আইরিশ এই দুই ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত ৭ রানের হার নিয়ে রানারআপ হয়েই মাঠ ছাড়ে আইরিশরা। বাংলাদেশের পক্ষে রুমানা আহমেদ ৩ উইকেট নেন, এছাড়া সানজিদা আক্তার মেঘলা, নাহিদা আক্তার, এবং সোহালি আক্তার নেন ২ টি করে উইকেট।
বাছাইপর্বের ফাইনালে উঠেই আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলার মেয়েরা। এছাড়া ২০১৪ সালে স্বাগতিক হিসেবে ও ২০১৫ সালে বাছাইপর্বে রানারআপ হয়ে খেলেছিল বিশ্বকাপে।
Discussion about this post