খেলাধূলা ডেস্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-২০ ম্যাচে চাপে পড়েও ১৫৮ রান তুলেছিল বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে চাপহীন থেকেও সংগ্রহ ১৬৯। বেশি মাত্র ১১! আমিরাতের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচ যেন টি-২০ ফরম্যাটে টাইগারদের সামর্থ্যের জানান দিয়ে গেল।
তবে প্রথম ম্যাচে কষ্ট করে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের দাপটে ৩২ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে তলানিতে পড়া আত্মবিশ্বাস খানিকটা বাড়িয়ে, দলটা একটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে পারছে।
মঙ্গলবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচেও টস হারে বাংলাদেশ। মেকশিফট ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদি মিরাজ ২৭ রান যোগ করেন। সাব্বির একটি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করেন। লিটন দাস এসে ঝড়ো শুরু করলেও ফিরে যান ২০ বলে চারটি চারে ২৫ রান করে। আফিফ হোসেন ১০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
অন্য ওপেনার মেহেদি মিরাজ ক্রিজে থাকলেও সেভাবে রান বড় করে নিতে পারেননি। ১৫তম ওভারে ৩ ৭ বলে পাঁচটি চারে ৪৬ রান করে আউট হন। চাপহীন থেকে ব্যাট করে মোসাদ্দেক হোসেন ২২ বলে করেন ২৭ রান। তিনি দুই চার ও এক ছক্কা মারেন। তবে স্লগে ইয়াসির রাব্বি ১৩ বলে এক ছয় ও এক চারে ২১ ও নুরুল হাসান ১০ বলে এক চার ও এক ছয়ে ১৯ রান করে পুঁজি বাড়িয়ে নেন।
জবাব দিতে নেমে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আমিরাত। এর মধ্যে ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসেম ১৬ বলে ১৮ রান করেন। শুরুর ওই ধাক্কা সামাল দেন পাঁচে নামা অধিনায়ক রিজওয়ান ও ছয়ে নামা বাসিল আহমেদ। তারা ৯০ রান যোগ করেন। এর মধ্যে রিজওয়ান ৩৬ বলে দুই ছক্কা ও দুই চারে ৫১ রান করেন। বাসিল ৪০ বলে চারটি চারে ৪২ করে আউট হন।
বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেন। তাসকিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে শেষ ওভারে তিনি দিয়েছেন ১২ রান। এবাদত ৪ ওভারে ২৪ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। এছাড়া স্পিনার মোসাদ্দেক ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে দুই উইকেট দখল করেছেন। মিরাজ ২ ওভারে দেন মাত্র ১২ রান। নাসুম ছিলেন খরুচে। তিনি ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সাইফউদ্দিন ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন।
Discussion about this post