খেলাধূলা ডেস্ক
একের পর এক যেন মাইলফলক স্পর্শ করে চলেছেন ফুটবল রাজ্যের জাদুঘর লিওনেল মেসি। জ্যামাইকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি পেয়েছেন শততম ম্যাচে জয়ের দেখা।
দিয়েগো ম্যারাডোনার পর আর্জেন্টিনার ফুটবলের জন্য বড় আশির্বাদ হয়ে এসেছেন মেসি।
দলকে ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি জেতাতে না পারলেও তিনি ঘুচিয়েছেন আলবিসেলেস্তেদের ২৮ বছরের ট্রফি খরা। আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন লাতিন আমেরিকা শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কোপা আমেরিকা ও ইউরোপ-কনমেবল লড়াইয়ের শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার ফিনালিসিমা।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আরও নিপুণ মেসি। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে পেছনে ফেলে দখলে নিয়েছেন কনমেবল অঞ্চলের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের রেকর্ড। আর সবশেষ জ্যামাইকার বিপক্ষে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করে গড়েছেন আরও একটি রেকর্ড।
মালয়েশিয়ার সাবেক ফুটবলার মোখতার দাহারিকে পেছনে ফেলে মেসি জায়গা করে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের তালিকায় সেরা তিনে। সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় তার আগে আছেন কেবল ইরানের সাবেক ফুটবলার আলি দাঈ ও পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ১০৯ গোল করে তালিকার দুইয়ে আলি দাঈ আর ১১৭ গোল করে শীর্ষে আছেন রোনালদো।
এদিকে জ্যামাইকার বিপক্ষে মেসি মাঠে নামেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৬৪তম ম্যাচে। যেখানে জয় তুলে তিনি পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলকে। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর এ নিয়ে ১০০ জয় পেলেন এ আর্জেন্টাইন তারকা।
এ মাইলফলকেও মেসি অবশ্য পিছিয়ে আছেন তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদোর থেকে। ১৯০ ম্যাচ খেলে পর্তুগিজ তারকার জয় ১১২ ম্যাচে। বর্তমান সময়ে ফুটবল খেলছেন এমন তারকাদের মধ্যে ম্যাচ জয়ে শীর্ষে আছেন স্পেনের ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। ১৮০ ম্যাচে ১৩১ জয় নিয়ে তিনি অবশ্য ইতিহাসের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতা ফুটবলার।
১৬৭ ম্যাচে ১২১ জয় নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন রামোসের সাবেক সতীর্থ ইকার ক্যাসিয়াস। তাদের পরেই রোনালদোর অবস্থান। চারে থাকা মেক্সিকোর সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আন্দ্রে গুয়ার্দাদো ১৭৭ ম্যাচে পেয়েছেন ১০১ জয়ের দেখা। মেসির অবস্থান পাঁচে। কাতার বিশ্বকাপের আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই আর্জেন্টিনা। তাই গুয়ার্দাদোকে পেছনে ফেলতে মেসিকে অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর পর্যন্ত।
Discussion about this post