খেলাধূলা ডেস্ক
ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে গোল করে ইতিহাস গড়লেন এই পর্তুগিজ তারকা। ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে। সেখানে করেছিলেন ৪৫০ গোল। য়্যুভেন্টাসের হয়ে তার গোলসংখ্যা ১০১টি। এছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম দফায় ১১৮ ও দ্বিতীয় দফায় এখন পর্যন্ত দেখা পেয়েছেন ২৬টি গোলের।
ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এখন সিআরসেভেন, এমনটা বলা অত্যুক্তি হবে না। নিয়মিত একাদশে এখন আর জায়গা হয় না তার। বল নিয়ে ক্ষিপ্র মেজাজের ধার অনেকটাই কমে গেছে। অনেকেই যখন সিআরসেভেনের গোধূলি লগ্ন দেখে ফেলেছিলেন ঠিক তখনই জানান দিলেন, এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। ক্লাব ফুটবলে স্থাপন করলেন অনন্য এক মাইলফলক। ৩৭ বছর বয়সে মালিক হলেন ৭০০ গোলের।
৫ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকার ক্লাব ফুটবলের পারফরমেন্সের গ্রাফটা বেশ ঈর্ষণীয়। রেড ডেভিলদের জার্সিতে প্রথম দফায় দেখা পান ১১৮ গোলের। দ্বিতীয়বার যোগ দিয়ে এখন পর্যন্ত গোলের সংখ্যা ২৬টি। তবে ক্লাব ক্যারিয়ারে ৪৫০ গোল করে উজ্জ্বল ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। আর য়্যুভেন্টাসের হয়ে দেখা পান ১০১ গোলের। স্বদেশি ক্লাব স্পোর্টিংয়ের হয়ে গোল করেন ৫টি।
প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ক্যাম্পে দলের সাথে ছিলেন না এই পর্তুগিজ তারকা। ম্যানইউ চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করায় গুঞ্জন উঠেছিল, ক্লাবের সাথে সম্পর্ক ইতি টানার। তবে বরাবরই পারিবারিক কারণে ছুটির কথা বলে সেই গুঞ্জনে পানি ঢালার চেষ্টা করেছেন সিআরসেভেন।
নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই নিজেকে ফিরে পাওয়ার যুদ্ধে মরিয়া ছিলেন রোনালদো। গত মৌসুমে ক্লাবটির সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি। তবে এবার যেন কিছুতেই মেলে ধরতে পারছিলেন না নিজেকে। একের পর এক গোল মিসের মহড়ায় সিআর সেভেন যখন বিধ্বস্ত, ঠিক তখনই পেয়ে গেলেন স্বস্তির গোল। সেই সাথে ইতিহাসে নাম লেখালেন স্বর্ণাক্ষরে।
Discussion about this post