খেলাধূলা ডেস্ক
২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় দল বদলে নেইমারের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল মামলা। বিশ্বকাপের আগে এই মামলায় সুখবরই পেয়েছেন তিনি। প্রসিকিউটররা এই মামলায় নেইমারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অর্থাৎ সব অভিযোগ থেকে মুক্ত পিএসজির ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
প্রসিকিউটররা শুরুতে একই অভিযোগে নেইমারের দুই বছরের জেল ও ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা চেয়েছিল। কিন্তু তারা নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে, অভিযুক্তদের সবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
নেইমার ছাড়াও অভিযুক্তরা হলেন তার বাবা-মা, সংশ্লিষ্ট ওই দুই ক্লাব, সাবেক বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ ও সান্দ্রো রসেল এবং সাবেক সান্তোস প্রেসিডেন্ট ওদিলিও রদ্রিগেস।
মূলত মামলাটি করেছিল বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। সান্তোসে থাকাকালীন নেইমারের ৪০ শতাংশ স্বত্বের মালিক ছিল তারা। প্রতিষ্ঠানটির দাবি ওই সময় ট্রান্সফার ফির অঙ্কটা কম করে দেখানোয় প্রাপ্য অংশ পাওয়া থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। নেইমার ও বার্সেলোনা অবশ্য শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ডিআইএস এই ঘটনায় ৫ বছরের জেল দাবি করেছিল নেইমার, রসেল ও বার্তেমেউর। সঙ্গে ১৪৯ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা। কিন্তু প্রসিকিউটররা রসেলের জন্য ৫ বছরের জেল, ৮.৪ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা এবং নেইমারের জন্য দুই বছরের জেল ও ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা চেয়ে আসছিল। তবে নেইমারের পরিবারের প্রনিধিত্বকারী আইনজীবী বেকার ম্যাকেঞ্জি দাবি করেছেন, এই ঘটনায় স্প্যানিশ আদালতের বিচার করার আইনি অধিকার নেই। কারণ, ঘটনাগুলো ব্রাজিলীয় নাগরিকদের মাধ্যমে স্পেনের বাইরে সংঘটিত হয়েছে। পাশাপাশি তারা আরও তুলে ধরেন যে, এসব ঘটনা ব্রাজিলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়।
Discussion about this post