খেলাধূলা ডেস্ক
সম্প্রতি ভারতের কাছে হেরে যাবার পর বড় ধরনের এক অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ। বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ভুয়া ফিল্ডিং বা ফিল্ডিংয়ের ভান করার অভিযোগ এনে পাঁচ রান দাবি করেছে সাকিবরা। এই অভিযোগ আইসিসি কতোটা আমলে নেবে তা নিয়ে সংশয় থাকলেও বিতর্ক চলছেই।
ঘটনাটি বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বন্ধ হবার আগ মুহূর্তে। অক্ষর পটেলের বলে ডিপ অফ-সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন দাস। কোহলি দাঁড়িয়েছিলেন পয়েন্টে। আরশদীপ বল ছুড়ে ফেরত পাঠানোর সময়েই কোহলি বল কুড়িয়ে ছুঁড়ে দেয়ার ভঙ্গি করেন।
মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় পুরো ঘটনাটি। তৃতীয় আম্পায়ারও কোন ধরনের আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি। তবে ম্যাচ শেষে এই নিয়েই কথা বলেছিলেন নুরুল হাসান।
আইসিসির নিয়ম বলছে, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মাঠের দুই আম্পায়ার মনে করেননি, কোহলি কোনও অপরাধ করেছেন।
তাই শাস্তিও দেয়া হয়নি। তবে বাংলাদেশ শিবিরে এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। খেলার সময় এনিয়ে কোন কথা না হলেও তুমুল কথা হয়েছে ম্যাচ শেষে। বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে এনিয়ে রীতিমতো অনেক হৈ চৈ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ম্যাচ শেষে নুরুর হাসান বলেন, আমরা সবাই জানতাম মাঠ ভিজে ছিল। তার মধ্যে ভুয়ো থ্রো করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যেকে ওই ঘটনা দেখেছে। আমাদের পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল। তা হলে আমাদের দিকে ম্যাচ ঘুরে যেত। দুর্ভাগ্যবশত, সেটা হয়নি।
কোহলির ভুয়ো থ্রোয়ের ঘটনার পরেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে। তার পরেই দ্বিতীয় বিতর্ক তৈরি হয়। বৃষ্টি থামার পরেই আম্পায়াররা খেলা শুরু করতে চাইছিলেন। সাকিব হাঁটু মুড়ে বসে মাটি কতটা ভিজে রয়েছে সেটা দেখার চেষ্টা করেন। দাবি করেন, কিছুটা সময় পর খেলা শুরু করার।
খেলা শেষে এনিয়ে কোন মুখ খুলেননি তিনি। সাকিব বলেছেন, ভারতের সঙ্গে খেললে এমনই হয়। আমরা জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ কাজটা করতে পারলাম না। দারুণ ম্যাচ হল। দর্শকরাও নিশ্চয় খুব আনন্দ পেয়েছেন। দুটো দলও খেলে খুব আনন্দ পেয়েছে।
Discussion about this post