খেলাধূলা ডেস্ক
হাড় এড়ালেই চলবে, এমন সমীকরণ খেলতে নেমে মাত্র একাদশ মিনিটে জাপানের জাল কাঁপায় স্পেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য নজির স্থাপন করল জাপান। এই দুই গোল হয়েছে মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধানে।
আগে গোল করে জয়ের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে ২০১০ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। কিন্তু জাপান ছেড়ে কথা বলেনি। পিছিয়ে থেকে দ্বিগুণ উদ্যমে ম্যাচে ফিরে শুধু গোলই শোধই দেয়নি। চার মিনিটের ঝড়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দেশটি।
ই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাপান খেলবে নকআউট পর্বে। আর এই গ্রুপ থেকে হেরেও গোল পার্থক্যে স্পেন রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোতে খেলবে।
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্পেন বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল। তবে ম্যাচ ঘড়ির ৮ মিনিটে জাপান প্রথম সুযোগ পায়। জুনায়া ইতোর ডান পায়ের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে দালি ওলমোর ক্রসে মোরাতার হেড গোলকিপার প্রতিহত করেন।
১১ মিনিটে স্পেন এগিয়ে যায়। সিজার অ্যাজপিলিকুয়েতার ক্রসে আলভারো মোরাতা পোস্টের খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন।
মোরাতা এর কয়েক মিনিট পর সুযোগ পেয়েও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি। বিরতির ঠিক আগে জাপান সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েও সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয়।
বিরতির পর চার মিনিটের মধ্যে জাপান ঝলক দেখিয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে। ৪৮ মিনিটে জাপান ঠিকই সমতায় ফেরে। জুনিয়ো ইতোর হেড পাস থেকে রিসু দোয়ানের বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট ডান দিক দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।
৫১ মিনিটে কাওরো মিতোমার এসিস্টে তানাকা লক্ষ্যভেদ করে জাপানকে এগিয়ে নেন।জাপানের এই অবিস্মরণীয় জয়টা নিশ্চিত হয়েছে ম্যাচের আও তানাকার এই গোলে। সেই গোলই ব্লু সামুরাইদের এনে দিয়েছে ২-১ গোলের দারুণ এই জয়। তানাকা জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটা। তবে কাওরু মিতোমার যে পাস থেকে তানাকা গোল করেন, সেটা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয় যেহেতু ‘অ্যারিয়াল ভিউ’-তে বলের পুরো ১০০ শতাংশ লাইন পার করেনি, তাই জাপানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গিয়েছে।।
শেষের দিকে মার্কো এসেনসিও ও দানি ওলমো চেষ্টা করেও স্পেনকে সমতায় ফিরতে পারেনি। হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
Discussion about this post