খেলাধূলা ডেস্ক
ক্যামেরুনের বিপক্ষে ভালো খেলেও ব্রাজিল গোল পেলো না। আর শেষ মুহূর্তে সুযোগ পেয়ে লক্ষ্যভেদ করে আফ্রিকার অদম্য সিংহরা চমক দেখিয়ে দিয়েছে। স্তব্ধ করে দিয়েছে প্রায় গ্যালারিভর্তি দর্শক-সমর্থকদের গগনবিদারি চিৎকার আর উচ্ছ্বাস। নিজেরাই তখন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে সর্বশেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে হেরেছিল ব্রাজিল। এরপর কেটে গেছে প্রায় ২৪ বছর। এই সময়ের মধ্যে সবগুলো বিশ্বকাপে খেলে একটিও গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হারেনি সেলেসাওরা। পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সেই অবিশ্বাস্য রেকর্ডযাত্রা থামাল এবার ক্যামেরুন।
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্যামেরুন। গোলহীন ম্যাড়মেড়ে ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন ভিনসেন্ট আবুবকর।
ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ বিশ্বকাপে রানার আপ হয়েছিল ব্রাজিল। তবে সেবার গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নরওয়ের কাছে হেরেছিল সেলেসাওরা। এরপর কেটেছে দুই যুগ। এই সময়ে অনুষ্ঠিত পাঁচ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ১৫ ম্যাচে অপরাজিত ছিল ব্রাজিল। এবারের গ্রুপ পর্বে সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সংখ্যাটা ১৭তে নিয়ে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তাতে নতুন এক রেকর্ডের মালিক হয় ব্রাজিল।
গ্রুপ পর্বে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা আগে ছিল ফ্রান্সের। টানা ১৬ ম্যাচে অপরাজিত ছিল এমবাপে-জিরুডদের দল। ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকেই সেই রেকর্ডটাই ভেঙেছিল ব্রাজিল। কিন্তু রেকর্ড গড়ার তিন দিনের মাথায়ই সেই যাত্রা আবার থামিয়ে দিল ক্যামেরুন।
এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়ে শেষ ষোল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। তাই গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে বেশকিছু তারকা খেলোয়াড়কেই বিশ্রাম দিয়েছে দলটি। আর সে সুযোগটাই লুফে নিয়েছে ক্যামেরুন। মাঝারি শক্তির ব্রাজিলকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়টা তুলে নিয়েছে আফ্রিকার দলটি।
এদিকে আফ্রিকান দলটি যেমন বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মতো দলকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে অনন্য স্বাদ পেয়েছে। জিতেও তারা নক আউট পর্বে জায়গা করে নিতে পারেনি। তাকে কী। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হারানোর দারুণ সুখস্মৃতি যে তাদের এখন সঙ্গী।
তাই নক আউট পর্বের আগে তিতে যে বার্তা পেলেন তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিশ্চয়ই সামনের দিকে দলকে সেভাবেই সাজাবেন। হেক্সা মিশনে এসে পা হড়কালেই তো শুধু চলবে না। এগিয়ে যাওয়ার যে কোনও বিকল্প নেই। নিশ্চয়ই নেইমার-রিচার্লিসনরা থাকবেন পরের ম্যাচে। দলকে আবারও আনন্দে ভাসানোর বারতা নিয়ে আসবেন। সেই অপেক্ষায় সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
Discussion about this post