খেলাধূলা ডেস্ক
পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটি এই ম্যাচের আগে বেশ চাপে ছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে হেরেছিল তিতের দল। সেই হার যে দল বিশ্রামের ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে ছিল সেটা প্রমাণ করতে আজ বড় জয়ই দরকার ছিল। তিতের ব্রাজিল শুধু বড় ব্যবধানে জিতেইনি, দর্শকদের মনও জয় করেছে।
মরুর বুকে মাঠের সবুজ ঘাসে আলপনা এঁকে দিলেন তারা। যার সাক্ষী হয়ে থাকলো স্টেডিয়াম ৯৭৪ এর অর্ধ লাখেরও বেশি দর্শকসহ বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ। এদিন সেলেসাওদের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। একটি করে গোল করেছেন, নেইমার, ভিনিসিয়ুস, রিচার্লিসন ও পাকেতা। যে জয় উৎসর্গ করা হয়েছে ফুটবল সম্রাট পেলেকে।
৭ মিনিটে দুর্দান্ত আক্রমণে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোল করেন ভিনিসিয়ুর জুনিয়র। ডান দিকে অসাধারণ পাস। বাঁ দিকে বল পান ভিনিসিয়ুস। গোল করেই গোটা দলের সাম্বা নাচ।
১০ মিনিটে আবারও গোল। রিচার্লিসনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলার। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ঠাণ্ডা মাথায় গোল করলেন নেইমার। চলতি বিশ্বকাপে এটাই নেইমারের প্রথম গোল।
খেলার ২৯ মিনিটে রিচার্লিসন ঝলক। মাথায় বল নিয়ে জাগলিং করে সতীর্থকে সঙ্গে অনবদ্য পাস। সেখান থেকে সিলভার ফিরতি পাসে গোল করলেন রিচার্লিসন।
৩৬ মিনিটে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এবার লুকাস পাকেতা। বাঁ দিক থেকে ক্রস দিয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। সেখান থেকে চলতি বলে শটে গোল পাকেতার।
দ্বিতীয়ার্ধে সেলেসাওদের আক্রমণ কমিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত সেভ অ্যালিসনের। বাঁ দিক থেকে ক্রস করেছিলেন কোরিয়ার ফুটবলার। ডান দিক থেকে আর এক ফুটবলারের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচালেন তিনি।
৭৫ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। ফ্রিকিক থেকে বল ক্লিয়ার করেছিলেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার। সেই বল সুন্দর রিসিভ করে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল পাইক সিউং হো।
Discussion about this post