খেলাধূলা ডেস্ক
আগামী ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২২তম বিশ্বকাপের ফাইনাল আসর। আগেই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে বসে আছেন মেসির আর্জেন্টিনা দল। এবার ফাইনালে উঠলো এমবাপ্পের ফ্রান্সও। পিএসজিতে খেলা দুই সতীর্থের মধ্যেই হবে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লড়াই। শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে দুই দলের সামনেই সুযোগ থাকছে তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এর শিরোপা ঘরে তোলার। সোনালি সেই ট্রফি জয়ের যুদ্ধে মাঠে নামবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ফাইনালে লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন। সেবার মেসিদের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি। এবার ফ্রান্সকে হারিয়ে অধরা বিশ্বকাপের ট্রফিটা ধরার সুযোগ মেসির সামনে হাতছানি দিচ্ছে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এই বিশ্বকাপ ট্রফিটাই শুধু নেই মেসির শো-কেসে। আর মাত্র ২৩ বছর বয়সেই দুইবার বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ এমবাপ্পের।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছে তিন বার। যার দুইটিতে জয় আর্জেন্টিনার। বাকি একটি ম্যাচ জিতেছে ফরাসিরা। সেটাও গত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে। জমজমাট সেই লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে হেরেছিল লিওনেল মেসির দল। আলবেসেলিস্তাদের হারিয়ে সেবারের আসরে শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। তাই এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেয়ার দারুণ সুযোগ স্ক্যালোনির দলের সামনে।
১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপে এই দুই দলের প্রথম দেখা হয়। আর দ্বিতীয় দেখা ১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে। দুই আসরেই লাতিন আমেরিকার দলটির কাছে হারের স্বাদ পেয়েছিল ফরাসিরা। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দলের ১২ দেখায় আর্জেন্টিনা জিতেছে ৬টি ম্যাচ। ফ্রান্সের জয় ৩ ম্যাচে। বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
কাতারে ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ধাক্কা খায় ফ্রান্স। ম্যাচটি তারা হেরে যায় ১-০ গোলের ব্যবধানে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় এশিয়ার পরাশক্তি সৌদি আরবের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল মেসি-মার্টিনেসরা। এরপরের বাকি সব ম্যাচেই অপ্রতিরোধ্য এই দুই দল।
গত বিশ্বকাপের (২০১৮) দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিলো আর্জেন্টিনাকে। ওই ম্যাচে ফ্রান্স জিতেছিলো ৪-৩ গোলে। এমবাপ্পে করেছিলেন ২ গোল। তবে কাদের হাতে উঠবে বিশ্বকাপের তৃতীয় শিরোপার তকমা, তা দেখার জন্য গোটা ফুটবল বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর কাতার বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন লিওনেল মেসি। তার মূল লড়াইটা ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে।
Discussion about this post