খেলাধূলা ডেস্ক
ফুটবলের বড় উন্মাদনার অন্যতম এক নাম লিওনেল মেসি। ৩৫ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন তারকা কাতার বিশ্বকাপে আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। বলা চলে, দলকে একাই টেনে নিয়ে গেছেন ফাইনালেও। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ সৌদি আরবের কাছে হারের পর সবকটি ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন এই তারকা। চার ম্যাচে হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
বিশ্বকাপ জিতলেই সর্বকালের সেরার তর্কে কিংবদন্তিদের ছাপিয়ে যাবেন লিওনেল মেসি। তিনি আছেন সেই স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে, আর মাত্র একটি ম্যাচ সফলভাবে পাড়ি দিতে পারলেই তার হাত ছোঁবে সোনালী ট্রফি।
মেসির সোনালী ট্রফি ছোঁয়ার সাক্ষী হতে উন্মুখ হয়ে আছেন মেসি ভক্তরা। বিশ্বব্যাপী ফুটবলের এই সেরা দৃশ্য উদযাপনে মেসির ১০ নম্বর জার্সি গায়ে জড়াবেন ভক্তরা সেটিই স্বাভাবিক। ফলে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বরের জার্সি। তবে শেষ মুহূর্তে এসে আর জার্সিও মিলছে না। অ্যাডিডাসের দোকানগুলো থেকে হতাশ হয়ে ফিরছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। বুয়েনস আইরেস থেকে মাদ্রিদ, দোহা কিংবা টোকিও সব জায়গায় একই দশা।
সাইজ ছোট থেকে বড় যাই হোক, নারী কিংবা পুরুষের হোক, কোনো জার্সিই আর মিলছে না। আর্জেন্টিনা আগে থেকেই বিশ্বের অন্যতম ফেভারিট ফুটবল দল। এবার ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার পর দেশটির জার্সি বিক্রি বেড়েছে আরও বেশি করে।
অ্যাডিডাসের ব্যবসা বাড়াতে বরাবরই ভূমিকা রেখেছে আর্জেন্টিনা। অন্যকোনো শীর্ষ ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় জাতীয় দল জার্মান এই ব্র্যান্ডের জার্সি পরে না।
এদিকে জার্সি শেষ হলে কী হবে, নকল জার্সির অভাব নেই। কিছুদিন আগে জার্সি না মেলার অভিযোগের মুখে আর্জেনটাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, “আমাদের এখানে কিছু করার নেই। যদিও বিক্রি বাড়লে আমাদেরই লাভ। এটা অ্যাডিডাসের বিষয়। আমদানি, জনশক্তি স্বল্পতাসহ জনরোষের মতো অনেকগুলো বিষয়ের কারণেই তারা সমস্যায় পড়েছে।”
Discussion about this post