খেলাধূলা ডেস্ক
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের এই জয়ে ইতিহাসও গড়ল টাইগাররা। ২০ ওভারের ফরম্যাটে প্রথমবার ইংলিশদের হারাল তারা। যদিও টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দ্বিতীয়বার বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় খেলতে নামে দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড জস বাটলারের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে দারুণ জয় পায় স্বাগতিকরা। ৪ উইকেট হারিয়ে ও ১২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
১৫৭ রানের টার্গেট তাড়ায় নাজমুল হোসেন শান্তর ৩০ বলের ৫১ আর সাকিব আল হাসানের ২৪ বলের ৩৪ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৫৭ রানের টার্গেট দিয়েছে ইংল্যান্ড। টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করে জস বাটলারের অনবদ্য ৬৭ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড।
১৫৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩.৩ ওভারে ৩৩ রানের জুটি গড়েন রনি তালুকদার।
২০১৫ সালের পর জাতীয় দলে ফেরা রনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ শুরু করেছিলেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি তিনি।
ইংলিশ তারকা লেগ স্পিনার আদিল রশিদের গুগলিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে চার বাউন্ডারিতে রনি করেন ২১ রান। তার বিদায়ে ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রনি আউট হওয়ার পর মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন দাসও। তিনি জোফরা আর্চারের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৪.৫ ওভারে দলীয় ৪৩ রানে সাজঘরে ফেরার আগে লিটন করেন ১০ বলে ১২ রান।
তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ বলে ৬৫ রানরে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১.২ ওভারে দলীয় ১০৮ রানে মঈন আলীর বলে স্যাম কারেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। অভিষেক ম্যাচে তিনি করেন ১৭ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান। শান্তর সাথে তাল মিলিয়ে হৃদয়ের সাহসী শটগুলো গ্যালারিতে আনন্দের ঢেউ তোলে ।
হৃদয় আউট হওয়ার পরের ওভারেই আউট হন দুর্দান্ত খেলে যাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
৩০ বলে ৮ বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মার্ক উডের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। তার বিদায়ে ১২.২ ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি ২৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৩ বলে ১৫ রান করেন আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ বোলাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পান হাসান। আর একটি করে উইকেট দখল করেন নাসুম, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও সাকিব। আর দারুণ ব্যাটিং এর পাশাপাশি শান্ত’র দুর্দান্ত ফিল্ডিং সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে ।
Discussion about this post