খেলাধূলা ডেস্ক
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ চারটি ম্যাচ খেলেছে। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সবার মনেই জায়গা করে নিয়েছিলেন অনবদ্য পারফরম্যান্স দিয়ে। চার ম্যাচে পাঁচটি গোল হজম করেছে। জিকো পাঁচ গোল হজম করলেও ভালো কিপিং করেছেন। সাফের সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে ৯০ মিনিটের খেলা ১১৩ মিনিটে নেয়ার পেছনে জিকোর অসাধারণ দৃঢ়তা ছিল। গোলবারে দাঁড়িয়ে কুয়েতের মুহুমুহু আক্রমণ ঠেকিয়েছেন।
টাইগারদের গোলপোস্টের নিচে যেন যেন চীনের মহাপ্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি যা নির্ধারিত সময়ে অনেকবার চেষ্টা করেও ভেদ করতে পারেনি প্রতিপক্ষ ফুটবলাররা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীর সময় ঘোষণা করা হয় টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকা। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় দুই পুরস্কারই পেয়েছেন ভারতের সুনীল ছেত্রী। সেরা গোলরক্ষক বাংলাদেশি আনিসুর রহমান জিকো।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সেরা গোলরক্ষকের এই স্বীকৃতি পান জিকো।
ফাইনালে উঠতে না পারলেও সাফের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে ভারতে গিয়েছিল সেটা পূরণ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। ১৪ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার এই টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এর আগে ২০০৯ সালে শেষবার দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত প্রতিযোগিতাটির সেমিতে খেলেছিল বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ২-০ গোল হারে বাংলাদেশ। এরপর মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই ৩-১ গোলে জিতে নাম লেখায় সেমিফাইনালে। শেষ চারে হাভিয়ের কাবরেরার দল ০-১ গোলে হেরে যায় কুয়েতের কাছে। এরপর গতকাল কুয়েতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিক ভারত।
Discussion about this post