খেলাধূলা ডেস্ক
অনেক জল্পনা—কল্পনা শেষে শনিবার সকালে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেন।
তানজিদ তামিম আলোচনায় আসেন গত মাসের ইমার্জিং এশিয়া কাপ দিয়ে। ওই টুর্নামেন্টে চার ম্যাচের তিনটিতেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৪৪.৭৫ গড় ও ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ১৭৯ রান করেন তামিম। নজর কাড়ে তার ব্যাটিংও। এই উদ্বোধনী ব্যাটার নতুন মুখ হলেও তাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
শনিবার দল ঘোষণার পর মিরপুরে তিনি বলেন, ‘তানজিদ তামিমকে নিয়ে আমরা নির্বাচকরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওকে এইচপিতে অনেক নার্সিং করা হয়েছে। শেষ ইমার্জিং কাপেও কিন্তু যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছে। আমরা আশাবাদী ইন শা আল্লাহ দেশের জন্য ভালো কিছু দিতে অপেক্ষা করছে। ’এদিকে তামিমের ইনজুরিতে কপাল খুলেছে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের। তরুণ শামীম ও তামিমকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
তরুণ এই ওপেনারকে দলে নেয়া হয়েছে এশিয়া কাপে লিটন কুমার দাসের সঙ্গে যেন ইনিংস ওপেন করতে পারেন।এ কারণেই মূলত তানজিদ হাসান তামিমের দলে অন্তর্ভূক্তি। এমনিকেই দলে আরেক ওপেনার রয়েছেন— মোহাম্মদ নাঈম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আছে তার। যদিও ধারাবাহিক নন তিনি।
তামিমের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নের বীজ বোনা শুরু হয়েছিল তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতে। ২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত বগুড়া জেলার হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে খেলেছেন। এরপর ২০১৭ সালে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে উত্তরা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে অংশ নেন। এই ক্লাবের হয়ে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ছাড়াও খেলেছেন দুটি টি—টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব—১৯ দলের বিপক্ষে ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংসের পর থেকেই আলোচনায় তিনি। বয়সভিত্তিক দলের পর বড়দের ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছেন এই তরুণ। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপে দারুণ পারফরম্যান্স আর সাবেক অধিনায়ক তামিমের ইনজুরিই এশিয়া কাপে সুযোগ করে দেয় তাকে।
এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া তামিমকে নিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী প্রধান নির্বাচক নান্নু, ‘তামিমকে নিয়ে আমরা নির্বাচকরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওকে এইচপিতে অনেক নার্সিং করা হয়েছে। শেষ ইমার্জিং কাপেও কিন্তু যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছে। আমরা আশাবাদী ইনশাআল্লাহ ও (তামিম) দেশের জন্য ভালো কিছু দেওয়ার অপেক্ষা করছে।’
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন, এবাদত হোসেন, নাঈম শেখ।
স্ট্যান্ডবাই: তাইজুল ইসলাম, সাইফ হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব।
Discussion about this post