ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাসের কারণে দুর্গতদের সাহায্যে নিজেদের প্রিয় ব্যাট-বল নিলামে তুলেছেন সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ। রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে সেই নিলাম। উচ্চমূল্যেই বিক্রি হয়েছে তাদের স্মৃতিবহুল এই স্মারক। দুইজনের ব্যাট ও বল মিলে নিলাম থেকে পাওয়া গেছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা।
প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা নিলামে সৌম্যর ব্যাট বিক্রি হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকায়, অপর দিকে তাসকিনের বলটি বিক্রি হয় চার লাখ টাকায়। নিলাম থেকে পাওয়া এই অর্থের পুরোটাই করোনাভাইরাস দুর্গতদের সাহায্যে ব্যয় করা হবে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ব্যাট ও বল দুটিই কিনে নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যাংক। প্যাকেজ হিসেবে ব্যাংকটি সাড়ে আট লাখ টাকা বিড করেছে। অবশ্য ব্যাংকটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি আয়োজকরা।
২০১৯ সালে সৌম্য নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ৯৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন। বোল্ট, সাউদি, ওয়াগনারদের বিপক্ষে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে তার সেই নজরকাড়া ইনিংসটি ছিল ১৪৯ রানের।
সৌম্য জানালেন সেই ব্যাটের সঙ্গে তার অনেক আবেগ জড়িয়ে, ‘সেঞ্চুরির ব্যাটটা আমার একদম নতুন ছিল। মুমিনুল ভাই সব সময় বড় ম্যাচে নতুন ব্যাট দিয়ে খেলার কথা বলেন। আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির কারণে ব্যাটটায় অনেক স্মৃতি জড়িত আছে। অনেক আবেগ আছে। আমি চেয়েছিলাম যে ব্যাটটা অনেক সময় আমার কাছে থাকুক। কিন্তু এখন করোনার সময় ব্যাটটা নিলামে তোলার প্রস্তাব পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার আর ভাবিনি। আমার এই ব্যাটের কারণে যদি দুইটা মানুষের উপকার হয়, তাহলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবো।’
অপরদিকে তাসকিন শ্রীলঙ্কার মাটিতে পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদ। স্বাগতিক ইনিংসের শেষ ওভারে আসেলা গুনারত্নে, সুরাঙ্গা লাকমাল ও নুয়ান প্রদ্বীপের উইকেট নিয়ে কীর্তিটি গড়েন। পঞ্চম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক পেয়েছিলেন অভিষেকে পাঁচ উইকেট পাওয়া এই পেসার।
তাসকিন প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমার ঘরে সংগ্রহকৃত সবগুলো সামগ্রীই আমার কাছে অনেক মূল্যবান এবং প্রিয়। প্রিয় একটি জিনিসের মাধ্যমে অসহায়দের সাহায্য করতে পারাটা দারুণ অনুভূতির। আমার ইচ্ছে ছিল অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়া বলটি নিলামে তোলার। কিন্তু বাসা পরিবর্তন করতে গিয়ে বলটা হারিয়ে গেছে। ফলে হ্যাটট্রিকের বলটি তুলেছি।’
Discussion about this post