খেলাধূলা ডেস্ক
২০২৩ সালটা হলো মেসির জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্যময় একটি বছর। এক মৌসুমে সব স্বপ্ন পূরণের ষোলকলা পূর্ণ হলো ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির। বিশ্বকাপ জেতার পর রেকর্ড অষ্টমবারের মতো ইউরোপীয় ফুটবলের বর্ষসেরার খেতাব ব্যালন ডি’অর জিতলেন এল এম টেন। সকল অপ্রাপ্তির সমাপ্তি হলো এই বছরে।বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে মেসি তার ক্যারিয়ারের সকল অর্জন পূর্ণ করেছে।তারই সাথে গতকাল প্যারিসে আয়োজিত ৬৭তম ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে ৮ম বারের মতো ব্যালন ডি’অর নিজের নামে করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি,যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’-এর বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। এ নিয়ে অষ্টমবার পুরস্কারটি জিতলেন মেসি। লড়াইটা ছিল তিনজনের মধ্যে। লিওনেল মেসি, আরলিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। গেল বছরের হিসেবে এমবাপ্পে ছিটকে গেলে লড়াই জমে উঠে দুই তারকা মেসি ও হালান্ডের মধ্যে। তাতে নরওয়ের তারকাকে পেছনে ফেলে অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া মেসি। সেই সঙ্গে আরেকটু ভারী করলেন নিজের রেকর্ডও। গতরাতে প্যারিসে তার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া হয় এ পুরস্কারটি। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা আর্লিং হালান্ড এবং পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে হারিয়ে তিনি এবার এই পুরস্কার জেতেন।
পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেন, মুহূর্তটা উপভোগের জন্য এখানে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার স্বপ্ন। এটা খুবই বিশেষ ব্যাপার ছিল। অন্য দেশের মানুষরাও চেয়েছে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক।
নিজের এমন ক্যারিয়ার হবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি উল্লেখ করে বলেন, আমি যা অর্জন করেছি সেটি করার জন্য ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন ছিল। আমি বিশ্বের সেরা ও ইতিহাসের সেরা দলে খেলেছি। এটা আমার ট্রফি জেতা এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতার কাজকে সহজ করেছে।
ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে অনেকটাই নির্লিপ্ত থাকেন আর্জেন্টাইন তারকা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি আমার ক্যারিয়ারে অনেকবার বলেছি- ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটি পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটি সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কারও। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতোটা গুরুত্ব দেইনি। আমার কাছে দলীয় অর্জন ছিল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
রোজারিওর সেই ছোট্ট মেসি যখন গ্রোথ হরমোনের কারণে খেলাটাই ছেড়ে দিতে যাবেন তখনই বার্সেলোনা যেন আশীর্বাদ হয়ে আসে তার জীবনে। তাই তো সেই স্বপ্নের ক্লাবকে আজও মনে প্রাণে ধারণ করেন, এখনো মনের গহীনে সুপ্ত বাসনা ঈপ্সিত থাকে বার্সেলোনায় ফেরার প্রতি।
অপরদিকে এবার বর্ষসেরা স্ট্রাইকার হয়েছেন আর্লিং হল্যান্ড, সঙ্গে সেরা ক্লাবের তকমা পেয়েছে তার ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। নারী ফুটবলের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সা মিড ফিল্ডার আইতানা বোনমাতি।
MESSI WIN THE BALLON D’OR
2009 — 2010 — 2011 — 2012 — 2015 — 2019 — 2021 — 2023History Is Made By Him..
Discussion about this post