ক্রীড়া ডেস্ক
ঝুঁকি নেওয়া এবং চাপের সময় মেজার ধরে রাখার জন্য সুনাম আছে মহেন্দ্র সিং ধোনির। যার কারণে তার নামই হয়ে গেছে ‘মিস্টার কুল।’ শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দলকে অনেকবার নখ কামড়ানো জয় এনে দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচটির কথা স্মরণ করা যাক। চাপের মুখে কি অসামান্য ইনিংসটাই না খেলেছিলেন ধোনি। টিম ইন্ডিয়াকে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিল তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বসেরা ফিনিশার হিসেবে খ্যাত সেই ধোনিই বলেছেন, ব্যাটিংয়ের সময় তারও হৃদস্পন্দন হয়, চাপ অনুভব করেন।
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার এস বদ্রিনাথ এবং ব্যবসায়ী সারাভানা কুমারের সঙ্গে মানসিক শক্তিবৃদ্ধি মূলক এক সংস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের গোপন কথাটা প্রকাশ্যে আনেন ধোনি।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক বলেন, ‘যখন আমি ব্যাটিংয়ে নামি, প্রথম ৫-১০ খেলার সময় আমার হৃদস্পন্দন হয়। আমি চাপ অনুভব করি, অল্প ভয় পাই।’
২০১৫ বিশ্বকাপ ছাড়াও ধোনি তার মানসিক চাপ সামলানোর আরেকটি বড় প্রমাণ দিয়েছিলেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের দুঃসময়ে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ম্যাচটা প্রায় জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ধোনি। কিন্তু রান আউট হওয়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। তবে তখনও তার চোখেমুখে কোনো ধরনের চাপ দেখা যায়নি। স্বাভাবিকভাবে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন তিনি।
নিজের মানসিক শক্তির বিষয়টা সামনে এনে ধোনি মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বচ্ছতা যে জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বচ্ছতা জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেবল তা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে নয়। মানসিক চাপ নিয়ে অনেকে কোচের সঙ্গে কথা বলে না। আমি মনে করি, কোচ-খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হওয়া দরকার।’
Discussion about this post