খেলাধূলা ডেস্ক
ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড-কে ৯ উইকেটে হারিয়ে এবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে শান্ত-শরিফুল-তানজীম সাকিবরা।শনিবার নেপিয়ারে তারা এক কথায় স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়েছে। বল হাতে তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার তিনটি করে উইকেট নিয়ে কিউইদের ৯৮ রানে অলআউট করেন। তারপর শান্তর ফিফটিতে ২০৯ বল বাকি থাকতে জিতে যায় সফরকারীরা।
টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত নিউজিল্যান্ড আজ জিততে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারতো। কিন্তু তা হতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিউই অংহকার গুঁড়িয়ে দিয়ে তার অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিয়েছে।গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। ওটাই ছিলো কিউই কন্ডিশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য। এবার সেটিকে ছাপিয়ে গেলো।
আরও পড়ুন: দাপটের সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ !
বাংলাদেশের পেসাররা উইকেটের সহায়তা কাজে লাগিয়ে দারুণ বোলিং করেন। টপ অর্ডারে ছোবল দেন তানজিম হাসান। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে তিন ওভারে তিন উইকেট নিয়ে কিউই ব্যাটিংকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি শরিফুল ইসলাম। কন্ডিশন ও উইকেটের সহায়তা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন সৌম্য সরকার।
ম্যাকলিন পার্কের পেস সহায়ক উইকেটে ৭ ওভারে স্রেফ ১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার তানজিম, ২২ রানে ৩টি শরিফুল। কিউই ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তারা দুজনই। পরে সৌম্য বোলিংয়ে এসে ৩ উইকেট নেন ১৮ রানে।
রান তাড়ায় বাংলাদেশকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। শুরুতে যদিও একটু অস্বস্তিতে পড়েন সৌম্য ও এনামুল। এরপর চোখে কোনো একটি সমস্যা দেখা দেয় সৌম্যর। শুরুতে চোখে পানি দেন তিনি, এরপর ড্রপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। তার পরও ঠিক না হওয়ায় মাঠ ছেড়ে যান।
বাংলাদেশের আশা তাতে শেষ হয়নি। কিউইদের এলোমেলো বোলিংর সঙ্গে এনামুল ও শান্তর দাপুটে ব্যাটিংয়ে ছুটতে থাকে রান। দলকে জয়ের কাছে নিয়ে শেষ হয় ৫০ বলে ৬৯ রানের জুটি। এনামুল ফেরেন ৩২ বলে ৩৭ করে।
তবে শান্তকে থামাতে পারেনি কিউইরা। ৮ চারে ৪২ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়েন তিনি মাথা উঁচু করে।
এই পরাজয়ে শেষ হয়ে গেল কিউইদের আরেকটি গর্বের পথচলাও। দেশের মাঠে টানা ১৭ ওয়ানডে জয়ের পর হেরে গেল তারা। এই ম্যাচ জিততে পারলেই তারা ছুঁয়ে ফেলত অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বরেকর্ড।
Discussion about this post