১৯৮৯ সালের প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। শিরোপাজয়ী সে দলের সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবলের কিংবদন্তি মোনেম মুন্না। করোনা দুর্গতদের সহায়তা করতে শনিবার রাতে নিলামে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের ফাইনালের মোনেম মুন্নার ‘২’ নাম্বার জার্সিটি তোলা হয়েছে। যা বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ টাকায়। এর প্রাথমিক মূল্য ছিল ২ লাখ টাকা।
এখান থেকে পাওয়া সম্পূর্ণ টাকা করোনা বিপর্যয়ে অসহায় মানুষদের জন্য খরচ করা হবে। এছাড়া এদিন নিলামের বাইরে থেকে মোনেম মুন্নার আবাহনীর ‘২’ নাম্বার জার্সিটিও বিক্রি হয়ে যায়। এটি ২ লাখ দশ হাজার টাকায় কিনে নেন মাহাবুব নামের একজন ক্রীড়াপ্রেমী।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফুটবলে অভিষেক ঘটে প্রয়াত মোনেম মুন্নার। জাতীয় দল ছাড়াও খেলেছেন ঢাকা আবাহনীতে। দীর্ঘ ১১ বছর ঐতিহ্যবাহী এই দল ছাড়াও ভারতের ঘরোয়া ফুটবলে মাঠ মাতিয়েছেন। ১৯৯৭ সালে নেন অবসর। দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে ২০০৫ সালে ৩৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি। মহামারিতে বাংলাদেশের মানুষ যখন বিপর্যস্ত, তখন অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে তার জার্সি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রয়াত এ কিংবদন্তীর স্ত্রী সুরভী মোনেম।
মুন্নার মৃত্যুর পর খুব যত্ন করে তাঁর আটটি জার্সি ও এক জোড়া বুট আগলে রেখেছিলেন মুন্নার স্ত্রী সুরভী। সেখান থেকে করোনার এই সংকটকালে দেশের দুস্থ মানুষের সহায়তার লক্ষ্যে প্রিয় জার্সিটা বের করে দিয়েছেন তিনি। সুরভীর প্রত্যাশা শুধুই মুন্নার জার্সির সম্মান, ‘খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছিলাম জার্সিটি। মুন্নার কথা মনে পড়লেই দেখতাম। দুস্থ মানুষদের সহায়তার লক্ষ্যে জার্সিটি নিলামের জন্য দিয়েছি। এখান থেকে আমার কিছু চাওয়ার নেই। আমি শুধু চাই আমার স্বামী মুন্নার সম্মান যেন থাকে। জার্সি বিক্রির পুরো অর্থই প্রদান করা হবে দুস্থদের সহায়তায়।’
এছাড়াও বাংলাদেশি রেফারি তৈয়ব হাসানের একটি জার্সিও আজ নিলামে ওঠে। যা তৈয়বের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার একজন ব্যক্তি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কিনে নেন। এই টাকার সম্পূর্ণ অংশ সাতক্ষীরার অসহায় মানুষদের জন্য খরচ করা হবে।
সব জার্সি বিক্রি হয় ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ পেজের মাধ্যমে। যারা সাকিব আল হাসানের ব্যাট নিলামে তোলার মাধ্যমে করোনায় অসহায় হয়ে পড়া মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে।
Discussion about this post