অনলাইন ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলছে। এতেও থামছে না সংক্রমণ। এ সময় করোনা নিয়ে নিজের এবং কাছের মানুষদের জন্য যেমন সবার দুশ্চিন্তা হচ্ছে তেমনি সংসার কিংবা অফিস নিয়েও আছে দুশ্চিন্তা। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি থাকবে কি না, থাকলেও কত দিন, বেতন কাটা হবে কি না, কাটলেও কী পরিমাণে কাটা হবে- এ সব নিয়েও উদ্বেগ আছে অনেকের। সব কিছু মিলিয়ে খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে অনেকেরই প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে অনেক সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষজন অস্থির হয়ে পড়ছেন। আবার যারা মানসিক উদ্বেগের রোগী, তাদের এই ধরনের পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ আরও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন বাতাসে দূষণ কম বলে সাধারণ শ্বাসকষ্ট কম হচ্ছে। তবে অ্যাংজাইটি বা প্যানিক অ্যাটাকের কারণে দিন দিন শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ছে।
সাধারণত, কোনও কারণে দুশ্চিন্তা বেড়ে গেলে, বা ভয় পেলে অনেকেই জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নেন। কারও বা বুকে চাপ লাগে, অস্বস্তি হয়। এছাড়া মাথা ঘোরা, গা গোলানো, ঘাম হওয়া, দম বন্ধ লাগা এগুলোও প্যানিক অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয় পেলে মস্তিষ্কের রক্তে অ্যাড্রিনালিন বেশি পরিমাণে মেশে। তখন রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক থাকলেও শ্বাসকষ্টের অনুভূতি হয়। এই সময় অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হলে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. মনে রাখবেন, আপনি একা নন, অনেকেই এখন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। যারা চাকরির জন্য নতুন কোথাও আবেদন করছেন বা যারা নিজের অফিস নিয়ে চিন্তায় আছেন, তারাও লকডাউন না কাটা পর্যন্ত কোন পথ খুঁজে পাবেন না। তাই এই সময়টুকু নিজেকে দিন।
২. অতিরিক্তি ভয় বা দুশ্চিন্তার কাটানোর ভালো পদ্ধতি হচ্ছে মেডিটেশন করা। অনেক বেশি অস্থির লাগলে আপনাকে বুঝতে পারে এমন কোন কাছের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক উদ্বেগ কমানো যায়।
৪. আজকাল অনলাইনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সেশন নেওয়া যায়। কোনও ভাবেই মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
৫. উদ্বেগ কাটাতে নিয়মিত নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন। লম্বা করে শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে ছাড়ার অভ্যাস করুন।
Discussion about this post