অনলাইন ডেস্ক
করোনা সংক্রমণ বাড়ার মধ্যেই ধীরে ধীরে উঠছে লকডাউন। এর মধ্যে অনেক অফিসও চালু হয়ে গেছে। এতদিন যারা বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন এই সময়ে আবার অফিসে কাজ করতে যাওয়া অনেকের মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি করছে। কেউ কেউ আবার দীর্ঘদিন ঘর বন্দী থেকে অফিসে যেতে পারে কিছুটা প্রশান্তি বোধ করছেন।
কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার, লকডাউন উঠে যাওয়া মানেই তাৎক্ষণিকভাবে স্বাভাবিক জীবন শুরু করা নয়। এখনও আমাদের অনেক সাবধান থাকতে হবে। যারা অফিস শুরু করছেন তাদের কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। যেমন-
জনসমাগম এড়ানো : শুধু বিয়ের অনুষ্ঠান, যেকোন ধরনের পার্টি, উপাসনালয় নয়, ক্যাফেটেরিয়া কিংবা যেকোন ধরনের সম্মেলন থেকে এখন দূর থাকুন। চারজনের বেশি মানুষ জমায়েত হয়েছে এমন জায়গা এড়িয়ে চলুন। যেকোন ধরনের মিটিংয়ের জন্য ভিডিও কল ব্যবহার করুন।
দ্বিগুণ হারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন : বাড়িতে থাকার সময় স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কিছুটা হলেও আপনার শিথিলতা ছিল। কিন্তু কাজে ফিরলে কোনো ভাবেই এ ব্যাপারে শিথিলতা দেখানো যাবে না। অফিসে লিফট বাটন, ডেস্ক, কম্পিউটিার, মাউস-যাই স্পর্শ করুন না কেন বারবার হাত পরিষ্কার করবেন। পাশাপাশি নিজের ব্যবহার্য জিনিসপত্রও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করবেন। বিশ মিনিট পর পর স্ক্রিন দেখা থেকে বিরতি নিন। অফিসে চা খাবার জন্য একই কেটলি বা কাপ ব্যবহার করবেন না।
কাজের সময় দুরত্ব : সহকর্মীর সিটের সঙ্গে আপনার সিটের ছয় ফুট দুরত্ব নিশ্চিত করুন। অফিসে উঠানামান জন্য লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সেক্ষেত্রে রেলিং হাত দিয়ে ধরবেন না।
সুরক্ষা সামগ্রী : অফিসে যাওয়ার আগে নিজের সুরক্ষা সামগ্রী যেমন- মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, গ্লভস, টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখুন। রাস্তায় তো বটেই, অফিসেও মাস্ক খুলবেন না। কোন কিছু ধরতে হলে গ্লাভস ব্যবহার করুন।
ডিজিটাল হোন : অফিসের প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে রেখে দিন। সাধারণ স্বাক্ষরের পরিবর্তে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করুন।
অফিসে যাতায়ত : যদি গণপরিবহনে অফিসে যাতায়ত করেন তাহলে অবশ্যই ফেস মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করবেন। অফিসে বা বাড়িতে পৌঁছে দ্রুত নিজের হাত, ওয়ালেট , মোবাইল ফোন পরিষ্কার করে নেবেন।
Discussion about this post