বিনোদনডেস্ক
১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। সে হিসেবে এই বছর তিনি ৮০ বছরে পা ফেলেছেন। আর এর প্রতিক্রিয়া জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ‘এক একটা জন্মদিন মানেই তো আয়ু কমিয়ে ফেলা। এবার আমি ৮০তে পা দিলাম। এটা নিশ্চয়ই খুব আনন্দের বিষয় নয়। কারণ, আয়ু দ্রুত কমে আসছে।’
তবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই কিংবদন্তি আরও বললেন, ‘৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পেরেছি। আমাকে নিয়ে সবার এখনও যে উচ্ছ্বাস দেখছি, এটা আনন্দের বিষয়। আমি কৃতজ্ঞ আমার স্রষ্টার প্রতি। এখনও সুস্থ আছি, ভালো আছি। সবার দোয়া চাই।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জন্ম নিলেও সৈয়দ আব্দুল হাদীর বেড়ে ওঠা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। যেমন আগরতলা, সিলেট, কলকাতা ও ঢাকায়। শিল্পী মনে করেন, শৈশব থেকে তিনি নানা সংস্কৃতির মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠেছেন বলেই নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছেন।
‘যেও না সাথী’, ‘চক্ষের নজর এমনি কইরা’, ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘চলে যায় যদি কেউ’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘আছেন আমার মোক্তার’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’, ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে’, ‘চোখ বুঝিলে দুনিয়া আন্ধার’- সিনেমার সূত্র ধরে এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের জন্ম হয়েছে সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠে।
এই শিল্পী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন বাংলা সাহিত্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
সৈয়দ আব্দুল হাদীর গাওয়া সাম্প্রতিক গান:
ষাটের দশক থেকে শুরু হয়েছিল সৈয়দ আব্দুল হাদীর গানের ক্যারিয়ার, যা অব্যাহত আছে এখনও। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ক্যাসেট, অনলাইনসহ প্রতিটি মাধ্যমে রয়েছে তার সফল বিচরণ। গানের পাশাপাশি টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা, উপস্থাপনা, শিক্ষকতাসহ আরও বেশ কিছু পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে গান তার জীবনের বড় অধ্যায় রচনা করেছে। গানের জন্য পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় একুশে পদকসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননা।
তার একমাত্র কন্যা তনিমা হাদীও গানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যদিও পেশা হিসেবে নয়।
Discussion about this post