অনলাইন ডেস্ক
রান্নায় তেল ব্যবহার অপরিহার্য। প্রয়োজন মতো তেল খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও দরকারি। তবে এই তেল হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। জেনে নিন কোন ৫ তেল নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন রান্নায়।
সরিষার তেল
যেকোনো রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। সরিষার তেল কেবলমাত্র বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে না, পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য আমাদের ত্বককে সুরক্ষিত রাখে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকেও। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, তাই যাদের হৃদরোগের সমস্যা আছে তারাও এই তেলে তৈরি খাবার খেতে পারেন।
চিনাবাদামের তেল
চিনাবাদামের তেলে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট অত্যন্ত বেশি, যা অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের জন্যও ভালো।
নারকেল তেল
নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই তেলে উচ্চ স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা আমাদের দেহে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এটি ভিটামিন ই এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল
স্বাস্থ্য সচেতনরা রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ সমৃদ্ধ, অলিভ অয়েল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কম পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার কারণে এই তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং জয়েন্ট ব্যথা থেকেও স্বস্তি দেয়।
সানফ্লাওয়ার অয়েল
প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টিতে ভরপুর সানফ্লাওয়ার অয়েলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
Discussion about this post