ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম
দেশে প্রতিনিয়ত ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই রোগীদের জীবনযাপনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাচলা ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পায়ের যত্নও নিতে হবে ঠিকভাবে।
ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে যে জটিলতা দেখা দেয়, একে সামগ্রিকভাবে ডায়াবেটিস ফুট বলা হয়।
যেসব কারণে ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি
১. ডায়াবেটিসের কারণে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ হয়। পা-ও এর ব্যতিক্রম নয়।
২. রক্তে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে দেহের মাঝারি ও ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলোতে পরিবর্তন হয়, সরু হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে পায়ে রক্ত চলাচল কমে যায়, যা ঘা বা পচনকে ত্বরান্বিত করে।
৩. ডায়াবেটিসের কারণে পায়ের স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনুভূতি কমে যায় ও পা নাজুক হয়ে পড়ে এবং বারবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ফলে সহজেই সংক্রমণ হয়ে ঘা হয় বা পচন ধরে এবং সহজে তা সারে না।
কী করবেন
প্রথমেই রক্তে শর্করা সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। নিয়মিত রক্তে শর্করা ও গড় শর্করা পরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।
পায়ে যেন কোনো ধরনের আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খালি পায়ে হাঁটা যাবে না, নরম তলার প্রশস্ত জুতা পরতে হবে, আঁটসাঁট জুতা-মোজা পরা যাবে না।
নিয়মিত নিজের পা পরীক্ষা করতে হবে। পা ফাটা রোধে পা পরিষ্কার করে আর্দ্রতা রক্ষাকারী মলম লাগাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পায়ের কর্ন বা অন্য কিছু নিজে নিজে কাটা যাবে না। পায়ে অতিরিক্ত গরম লাগানো যাবে না।
পায়ে ঘা বা সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
লেখক: মেডিসিন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট সিটি স্কিন সেন্টার, শান্তিনগর, ঢাকা।
Discussion about this post