অনলাইন ডেস্ক
বার্ধক্য, হার্টের সমস্যাসহ চার বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন নাট্যজন আলী যাকের। আক্রান্ত হন করোনা ভাইরাসেও।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ৭৬ বছর বয়সে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। সংসার জীবনে রেখে গেলেন স্ত্রী স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী সারা যাকের, ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের, ছেলের বউ মিম রশিদ, নাতনি নেহা ও মেয়ে শ্রেয়া সর্বজয়া।
কিন্তু মৃত্যুতেও কিছু প্রাণ থেমে থাকে না। তেমনই একজন আলী যাকের। তিনি জেগে রবেন সৃষ্টিকর্মের উজ্জ্বল আলোয়।
১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটক দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা করেন আলী যাকের। সে বছরের জুন মাসে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে যোগ দেন। তখন থেকে নাগরিকই তার ঠিকানা। একে একে ‘বাকি ইতিহাস’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, ‘কোপেনিকের ক্যাপটেন’, ‘গ্যালিলিও’, ‘ম্যাকবেথ’সহ অনেক আলোচিত মঞ্চনাটকের অভিনেতা ও নির্দেশক তিনি।
এছাড়া টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি’, ‘পাথর’ ‘দেয়াল’সহ বহু নাটকে অভিনয় করে আরও বেশি পরিচিত ও নন্দিত হয়ে ওঠেন তিনি।
পাশাপাশি বেতারে ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বেশ কিছু সিনেমায়ও। টেলিভিশনের জন্য মৌলিক নাটক লেখার পাশাপাশি দীর্ঘদিন নানা বিষয়ে দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন আলী যাকের।
Discussion about this post