অনলাইন ডেস্ক
শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রাখতে হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে হরমোনের সমস্যা হলে মানসিক-শারীরিক সব ধরনের অসুস্থতা হতে পারে। এ কারণে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। যেমন-
১. বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন রঙের খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন উপকারী তেমন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে রেইনবো ডায়েট যোগ করতে পারেন। এই তালিকায় বেগুনি, হলুদ, সবুজ, লাল, নীল রঙের ফল ও সবজি যোগ করতে পারেন। বেগুনি খাবারের মধ্যে বেগুন, বেগুনি বাঁধাকপি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অন্যান্য রঙের মধ্যে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নীল ব্লু বেরি, সবুজ ব্রকলি, সবুজ বাঁধাকপি, সবুজ ফুলকপি, হলুদ বেল পেপার যোগ করতে পারেন। পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় লাল রঙের খাবার যোগ করতে খাদ্যতালিকায় আপেল, তরমুজ, চেরি, স্ট্রবেরি, বিটরুট রাখতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন রঙের খাবার থেকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ফল ও সবজি খেলে হরমোনের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।
২. হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াও জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম। ডিম খেতে কম-বেশি সবাই পছন্দ করেন, তাই মাছ মাংস না হলে শুধু ডিম খেলেও হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে। আবার যে কোনো ডালেই প্রোটিন থাকায় এটি হরমোনের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. প্রায় সব ধরনের বাদামের মধ্যে লিনোলেইক অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। বাদাম শরীরের হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম, আমন্ড, আখরোট এক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
৪. হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে চা খুব উপকারী। তবে দুধ চা নয়, এজন্য খেতে হবে ভেষজ চা। তুলসী, গ্রিন টি খেলে বিপাকক্রিয়া বাড়ে। পাশাপাশি এগুলো শরীরের ডিটক্স পদ্ধতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় খুবই জরুরি। গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাফিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দিনে ১-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
৫. নারকেল তেলে থাকা লাউরিক অ্যাসিড এবং এমসিটি, হরমোন তৈরিতে অত্যন্ত উপকারী। ওজন কমাতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। সেই সঙ্গে এই তেল বিপাকক্রিয়া বাড়ায় ও শরীরে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. ঘরে তৈরি ঘি বা বাটারে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-২ থাকায় এগুলো হরমোনের ভারসাম্য রাখতে সহায়তা করে।
৭. শীতে সুস্থ থাকতে ও শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রোবায়োটিক খাবার খুবই জরুরি। তা নাহলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এ সময় বিপাকক্রিয়া ,হজমশক্তি ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিক খাবার যেমন – দই, বাটারমিল্ক খেতে পারেন। এসব খাবারে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে। সূত্র : বোল্ড স্কাই
Discussion about this post