বিনোদন ডেস্ক
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনবদ্য খাদ্যসেবা দেওয়ায় এবার ১৩ জনকে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। জমকালো এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রন্ধনশিল্পের ভিন্ন ১৩টি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার এই ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রহমান শাহ।
ইউরোপীয় ফুড ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান জাস্ট ইটের সহযোগিতায় এই প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার কোনো একটি রেস্টুরেন্টের খাদ্যমানের স্বাদ ও গুণাগুণ বিচার করে দেওয়ার পরিবর্তে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ডেইল মিররের গবেষণা সূত্রে জানানো হয়, এবারের কোডিভ লকডাউনের শুরুতেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকে দেশটির স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়। প্রতি প্যাকেট ৯ পাউন্ড ধরে যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে চার কোটি পাউন্ড। যার মাধ্যমে এক নজির স্থাপন করেছে পুরো রেস্টুরেন্ট ইন্ডাস্ট্রি।
জাস্ট ইট’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানড্রু কেনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রকোপের এই কঠিন সময়ের হসপিটালিটি সার্ভিসদাতা হিসেবে আমরা গর্বিত।’
ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় সেন্ট্রাল লন্ডনের সুবিশাল একটি স্টুডিওতে, যদিও প্রতিবারের মতো বিখ্যাত তারকাখচিত জমকালো অতিথি-অভ্যাগতের পরিবর্তে এবারের আয়োজনটি ছিল দর্শকশূন্য। সীমিত সংখ্যক উপস্থিতির মধ্যেও বজায় রাখা হয় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। যদিও এ আয়োজনটি ইউটিউব, ফেসবুক, জুম, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও লিংকডইন নেটওয়ার্কে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমেই পৌঁছে যায় বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে।
২০০৫ সালে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের যাত্রা শুরু। এর উদ্যোক্তারা ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডে ১২ হাজারের বেশি রেস্টুরেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেন যার ৮৫ শতাংশের মালিক প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রতিবছর যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) পাউন্ডের বেশি অবদান রাখার পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান ঘটছে এ শিল্পে। ব্রিটিশ রসনার খ্যাতি আজ হয়তো বিশ্ব জুড়ে, যদিও খুব অল্প মানুষই জানে যে, আজকের এ অনন্য সাফল্যের যাত্রা শুরু হয় কিন্তু বিগত শতকের ৬০-৭০ দশকে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানো অদম্য একঝাঁক উদ্যমী আর সাহসী মানুষের হাত ধরেই।
Discussion about this post