বিনোদন ডেস্ক
জন্মদিনে বই দিলেই বেশি খুশি হন বলে জানালেন নন্দিত নাট্য অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ দিনে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই বলেই জানালেন। সারা দিন বাসাতেই থাকার পরিকল্পনার তার।
আফসানা মিমি বলেন, ‘জন্মদিনে বিশেষ কোন পরিকল্পনা থাকেনা। আজও নেই। এই দিনটি কখনও ঘটা করে পালন করা হয় না আমার। তবে দিনটিতে এলেই ভক্তরা ফোনে বা ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানান। কেউ উপহার পাঠান, কেক নিয়ে বাসায় হাজির হন। এটাই আনন্দের। আজ পুরো দিনটা বাসাতেই থাকবো।’
শোবিজে পথচলার প্রায় তিন যুগ অতিক্রম করছেন আফসানা মিমি। অভিনয়ে তার অভিষেক হয়েছিল মঞ্চে। ১৯৮৬ সালে ব্যতিক্রম নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে প্রথম মঞ্চে ওঠেন তিনি। অভিনয় করেন মনোজ মিত্রের ‘রাজদর্শন’ নাটকের রানী চরিত্রে। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াত সৈয়দ মহিদুল ইসলাম। একই নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য গাজী রাকায়েতের মাধ্যমে পরবর্তীকালে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
উত্তরে আফসানা মিমি বলেন, শৈশবের জন্মদিনে অন্যরকম মজা হতো। ডিসেম্বরে জন্মদিন হওয়ায় স্কুল ছুটি থাকত। নানু বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সৈয়দ মহল্লা গ্রামে যেতাম। ওখানেই জন্মদিন হতো। সেখানে আমার অনেক খেলার সাথী ছিল। সবাই একসঙ্গে হলে নানু কিছু খাবার-দাবারের আয়োজন করতেন। বাগানের ফুল এনে তোড়া বানানো হতো। সেটা উপহার হিসেবে পেতাম। ছোটবেলা থেকেই জন্মদিনে সেরা উপহার বই। তাই এদিনে প্রত্যাশাই থাকত রঙিন কাগজে মোড়ানো কতগুলো বই পাব। এখনও কেউ বই দিলেই বেশি খুশি হই। যে জন্য আব্বা আমাকে সারাবছর বই উপহার দেন।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আফসানা মিমি। ৩ বছর মেয়াদে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাকে। গত ১১ নভেম্বর তার সঙ্গে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়।
Discussion about this post