তনিমা ইসলাম
শসার গুণাগুণ বলে শেষ করা কঠিন! রূপ চর্চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমান জনপ্রিয় সবজিটি। অন্যান্য দেশে শসা দিয়ে স্যুপ পর্যন্ত তৈরি করা হয়; এমনকি বেশ জনপ্রিয়ও। পশ্চিমা দেশে শসা দিয়ে আচার তৈরির উদাহরণও রয়েছে। এছাড়া সবজিটি ওজন কমানোর জন্যও খুব উপকারী।
অনেক সময় চিকিৎসকদেরও পরামর্শ থাকে শসা খাওয়ার। এমনকি ডায়েট চার্ট তৈরি করতে প্রথমেই আসবে শসার নাম। ফ্যাট ও কোলেস্টেরল না থাকায় ডায়েটের জন্য পারফেক্ট শসা। ১০০ গ্রাম শসাতে পানির পরিমাণ ৯৪ দশমিক ৯ গ্রাম এবং ক্যালরি ২২ কিলো ক্যালরি।
এছাড়া শসা একটি ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার। পাশাপাশি সবজিটিতে কিছু পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেলস এবং আঁশও রয়েছে। সবমিলে শসা শরীরের আদ্রর্তা ধরে রেখে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরকে রাখে শীতল।
আবার গুণে ভরপুর শসা সারাবছর ধরে পাওয়া যায়। বেশ সহজলভ্যও এটি। একইসঙ্গে আমাদের দেশীয় সবজির মধ্যে একটি জনপ্রিয় খাবারও। সালাদ, কাঁচা কিংবা রান্না; এছাড়া আরও কয়েক উপায়ে প্রক্রিয়া করে খাওয়া যায় শসা। তথ্যমতে, ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে শসা।
শসা মাথাব্যথা দূর করতে কাজে দেয়। যদি রাতে শোবার আগে শসা খাওয়া হয়, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর অবসাদ, মাথাব্যথার সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এছাড়া শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সবজিটি।
বিষাক্ত টক্সিন দূর করে মুখের দুর্গন্ধ কমায় এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজে আসে শসা। পাশাপাশি শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে শসার ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া নারীদের সৌন্দর্য রক্ষায়, বয়সের ছাপ তুলতে, ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূরীকরণ, ডাক সার্কেল রিমুভ, চুল পড়া বন্ধ ও নখের ভঙ্গুরতা রোধ করতেও কাজে দেয় শসা। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শসা রাখুন। সতেজ থাকুন।
Discussion about this post