বিনোদন ডেস্ক
বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৬ জুলাই)। গত বছরের এ দিনে জীবনের পিঞ্জর ছিন্ন করে অনন্তের পথে পাড়ি দিয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী এই জননন্দিত শিল্পী। তার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না বলে মনে করেন দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের গুণী ব্যক্তি এবং সংগীতপ্রেমীরা।
করোনার কারণে তার মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে নেই বিশেষ কেনো আয়োজন।
পারিবারিকভাবে শুধু প্রার্থনা সভার আয়োজন রাখা হয়েছে। প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনা করতে রাজশাহীতে এসেছেন শিল্পির স্ত্রী ও কন্যা।
এ ব্যাপারে ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানান, প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। এর আগে বিকেল ৪টায় রাজশাহী সিটি চার্চেও প্রার্থনা করা হবে। করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবই স্বল্প পরিসরে এসব আয়োজন হবে। এতে এন্ড্রু কিশোরের পরিবারের সদস্য এবং হাতে গোনা কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া এন্ড্রু কিশোর প্রতিষ্ঠিত ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চু স্মৃতি সংসদ আজ সকালে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে।
‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘পড়ে না চোখের পলক’সহ পাঁচ হাজারের বেশি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি হয়েছেন প্লেব্যাক সম্রাট।
১৯৫৫ সালের ৮ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর গানের হাতেখড়ি হয় ওস্তাদ আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে। প্লেব্যাক শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। সুরকার আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ ছবির মধ্য দিয়ে তার শুরু। তিনি আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
Discussion about this post