বিনোদন ডেস্ক
সেন্ট মার্টিনকে ঘিরে প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হলিউড তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
হলিউড এই অভিনেতা শুক্রবার নিজের টুইটার একাউন্টে টুইটে তিনি লেখেন- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ঘিরে নতুন সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় মানুষ এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন।এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। ৪৭ বছর বয়সী ডিক্যাপ্রিও এরই মধ্যে নিজেকে পরিবেশবাদী হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন। গত ৭ জানুয়ারি সরকার বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্ট মার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে। এরআগে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে সরকার।
টুইটে তিনি লেখেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন। জীববৈচিত্র্যের একটি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের আবাসস্থলে সুরক্ষা দেবে এ উদ্যোগ।
১৯৯৮ সালে ২৪ বছর বয়সে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে বনভূমি সংরক্ষণে কাজ করছেন ডিক্যাপ্রিও। তাঁর ফাউন্ডেশন থেকে বনভূমি সংরক্ষণে ৩৫ প্রকল্পকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচার চালিয়ে আসছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হাতিয়ার করেই মূলত তাঁর এ প্রচার। তবে বাংলাদেশের পরিবেশ বিষয়ে এবারই প্রথম টুইট করলেন তিনি।
সমুদ্রসম্পদ টেকসই উপায়ে আহরণের জন্য ৪ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্ট মার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে সরকার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ওই প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে হুমকির মুখে থাকা প্রবাল, গোলাপি ডলফিন, হাঙর, রে মাছ, সামুদ্রিক কাছিম, সামুদ্রিক পাখি, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং এদের আবাসস্থল সংরক্ষণ; সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই আহরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকার মানোন্নয়ন; ব্লু ইকোনমি সমৃদ্ধকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৪) অর্জনের লক্ষ্যে এই সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। এর আয়তন মাত্র তিন বর্গমাইল, যা কিলোমিটারে ৭ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। রয়েছে দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল। কোনোটির বৈধ অনুমোদন কিংবা পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। নৌকাতুল্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি ১২ হাজার মানুষ, ২ শতাধিক আবাসিক হোটেল, সরকারি ভবনসহ ৩ হাজার বসতবাড়ির চাপ সহ্য করতে পারছে না।
Discussion about this post