বিনোদন ডেস্ক
আলোচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এই ফল জানা যায়।
নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন ভোট পেয়েছেন ১৯১, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। এছাড়া জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে মাসুম পারভেজ রুবেল ও ২১৯ ভোট পেয়ে মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচিত। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডি এ তায়েব ১১২ ভোট ও রিয়াজ আহমেদ ১৫৬ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত পেয়েছেন ১২৭ ভোট। ১৮৪ ভোট পেয়ে শাহানূর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলেক জান্ডার বো পেয়েছেন ১৫৫ ভোট।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন ২০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী নির্বাচিত ২০৫ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিরব হোসেন পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে ১৯৩ ভোট পেয়ে আজাদ খান নির্বাচিত এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরহাদ পেয়েছেন ১৪৬ ভোট।
কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত ১১ প্রার্থী হলেন- অঞ্জনা সুলতানা (২২৫), অরুণা বিশ্বাস (১৯২), অমিত হাসান (২২৭), আলীরাজ (২০৩), কেয়া (২১২), চুন্নু (২২০), জেসমিন (২০৮), ফেরদৌস (২৪০), মৌসুমী (২২৫), রোজিনা (১৮৫) ও সুচরিতা (২০১)।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ১২মিনিটে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলে সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিট পর্যন্ত। টান টান উত্তেজনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট চলাকালে চিত্রনায়িকা নিপুণ চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। যদিও অভিযোগটি অস্বীকার করেন এই অভিনেতা।
এবার সমিতির ভোটার ছিল ৪২৮ জন। কিন্তু ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। বৈধ ব্যালট ৩৫৫টি, বাতিল হয়েছে ১০টি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।
Discussion about this post