বিনোদন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হয়েছে এবারের একুশে পদকপ্রাপ্তদের নাম। এ বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২৪ জন গুণীকে এই পদক দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে আছেন অভিনয়ে (শিল্পকলা) তিনজন। তারা হলেন প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খান, মাসুম আজিজ ও আফজাল হোসেন।
মৃত্যুর ৯ বছর পর খালেদ খানের একুশে পদকপ্রাপ্তিকে আনন্দিত তার পরিবার। খালেক খানের স্ত্রী সংগীতশিল্পী মিতা হকও প্রয়াত হয়েছেন গত বছর।
তাদের একমাত্র কন্যা ফারিন খান জয়িতা বলেন, ‘অভিনয়ে অবদানের জন্যে ২০২২ সালের একুশে পদকে ভূষিত হলেন আমার বাবা, খালেদ খান! তার এই প্রাপ্তিতে আমি, আমাদের পরিবার আনন্দিত, গর্বিত! এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সকলের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি অভিনেতা খালেদ খান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৭৫ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে মঞ্চনাটকে তার যাত্রা শুরু। মঞ্চে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, ‘অচলায়তন’, ‘নূরলদীনের সারাজীবন’, ‘ঈর্ষা’, ‘দর্পণ’, ‘গ্যালিলিও’ ও ‘রক্তকরবী’। ‘ঈর্ষা’ নাটকে অভিনয়ের জন্য কলকাতায়ও তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। খালেদ খান নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আরও রয়েছে ‘মুক্তধারা’, ‘পুতুল খেলা’, ‘কালসন্ধ্যা’, ‘স্বপ্নবাজ রূপবতী’, ‘মাস্টার বিল্ডার’, ‘ক্ষুদিত পাষাণ’ প্রভৃতি।
১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘সিঁড়িঘর’ নাটক দিয়ে টিভিতে অভিষেক তার। অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘কোনো কাননের ফুল’, ‘রূপনগর’, ‘মফস্বল সংবাদ’, ‘ওথেলো এবং ওথেলো’, ‘দমন’, ‘লোহার চুড়ি’, ‘সকাল সন্ধ্যা’ প্রভৃতি। দীর্ঘদিন ধরে মোটর নিউরন সমস্যায় ভুগে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মারা যান অভিনয়ের এই যুবরাজ।
Discussion about this post