অনলাইন ডেস্ক
সন্তানপালনের সবচেয়ে কষ্টকর দিক হল যোগাযোগ। কীভাবে কথা বললে সে আপনার কথা শুনবে এবং কীভাবে আপনি আগ্রহ দেখালে সে তার মনের কথা খুলে বলবে এটা অনেক বাবা-মাই বুঝতে পারেন না৷ সেক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলেই সঙ্গে সে আপনার সঙ্গে কমিউনিকেট করবে। যেমন-
মন দিয়ে সব কথা শুনুন: শিশু কোনও কিছু আগ্রহ নিয়ে বলতে শুরু করলে সেটা এড়িয়ে যাবেন না৷ সেটা যতই অর্থহীন হোক, মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন৷ টিভি দেখতে দেখতে বা বাড়ির অন্য কাজ করতে করতে শিশুর কথা শুনবেন না৷ এতে শিশুর মনে হবে আপনি তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না৷
শিশুর আবেগকে গুরুত্ব দিন: শিশু যখন কিছু বলছে তখন শুধু শুনতে হয় বলেই শুনবেন না৷ বরং মাঝে মাঝে প্রশ্ন করুন, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করুন, আগ্রহ দেখান৷
সব সময় প্রশ্ন করবেন না : সে পড়েছে কিনা, খেয়েছে কিনা, স্কুলে ভালো ব্যবহার করেছে কিনা এসব প্রশ্ন একাধিকবার করবেন না৷ শিশুকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার স্বাধীনতা দিন৷ কোনও সমস্যা হলে সে নিজেই আপনাকে বলবে৷ সে যা করছে বা করতে চাইছে, আপনি শুধু বাবা-মা বলে তাকে না বলবেন না। এতে শিশুর মন খারাপ হতে পারে।
পুরস্কার ও শাস্তি : কোনও ভুল কাজ করলে আপনি যেমন সন্তানকে বকাঝকা করেন, ঠিক সেরকমই কোনও ভালো কাজ করলে তাকে সাহস দিন, ভালো কথা বলুন৷ ছোটখাটো উপহার দিয়ে বোঝান আপনি খুশি হয়েছেন৷
সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা: মনে রাখবেন আপনার সন্তান একজন আলাদা মানুষ৷ তাই সে কোন রঙের প্যান্ট পরবে বা কোন রঙের ফিতা বাঁধবে, সব ব্যাপারে নিজের মতামত দেওয়া বন্ধ করুন৷ জীবনে একটা সময় আসবে যখন আপনি সন্তানের পাশে থাকবেন না৷ সেই দিনের জন্য ধীরে ধীরে সন্তানকে প্রস্তুত করুন৷
Discussion about this post