অনলাইন ডেস্ক
ব্যস্ত এই পৃথিবীতে কেউ হয়তো ভাবতেই পারেননি এভাবে ঘরের মধ্যে বসেই দিনের পর দিন সময় কাটাতে হবে। করোনাভাইরাস সবার জন্য আতঙ্কের নাম হলেও এর ভালো কিছু দিক দেখা যাচ্ছে। যেমন- যারা দিনের পর দিন কাজের চাপে কিংবা ব্যস্ততার কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন লকডাউনে সেই সম্পর্কগুলো ঝালাই করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সময়ে পরিবারকে যত বেশি সময় দেবেন ততই সম্পর্কগুলো আবারও গাঢ় হয়ে উঠবে। লকডাউনের সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
একসঙ্গে খাবার খাওয়া : ব্যস্ততার কারণে হয়তো অনেক পরিবারেই সব সদস্যদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ হয় না অনেকদিন। লকডাউনের এ সময় খাবার সময়গুলোতে সবাই একসঙ্গে বসতে পারেন। কার কেমন খাবার পছন্দ সেগুলোও একেকদিন বানানো যেতে পারে।
খাবার টেবিলে কথাবার্তা : একসঙ্গে খেতে বসার পাশপাশি খাবার টেবিলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার একটা পরিবেশও তৈরি হচ্ছে । টেবিলে বসে সারাদিন কি করছেন, কেমন অনুভব করছেন এসব আলোচনা করতে পারেন।
একসঙ্গে ঘরের কাজ : যেহেতু পরিবারের সব সদস্যই বাড়িতে থাকছেন , তাই ঘরের কাজকর্ম সবাই ভাগাভাগি করে করতে পারেন। কারো একার না চাপিয়ে ঘর পরিষ্কার থেকে শুরু করে রান্না, কাপড় ধোয়ায় একে অন্যকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
পরিবার নিয়ে ধারণা : ব্যস্ততার কারণে দূরে সরে যাওয়া পরিবারকে নতুনভাবে জানতে পারার সুযোগ তৈরি হয়েছে। লকডাউনের এই সময়ে পরিবারের সদস্যদের চিন্তা-ভাবনা জানুন। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন।
বাড়িতে তৈরি খাবার : করোনার আগে মানুষ এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে অনেকের বাড়িতে খাবার তৈরির সময় ছিল না। প্রায়ই হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এনে খেতেন। লকডাউনের এই সময় আবারও ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার সুযোগ এসেছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর এবং সময় মতো খাবার খাওয়ারও সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ইনডোর খেলাধূলা : বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে পুরনো সব খেলা যেমন-দাবা, ক্যারাম কিংবা লুডু খেলতে পারেন। এতে সময়ও যেমন ভালো কাটবে তেমনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের দৃঢ়তাও বাড়বে।
স্ক্রিন টাইম : পরিবারের প্রত্যেক সদস্যর পছন্দ হয়তো আলাদা, তারপরও এমন কোনো মুভি নির্বাচন করতে পারেন যা সবাই মিলে একসঙ্গে দেখতে পারেন। এছাড়া টেলিভিশনেও এমন কিছু নির্বাচন করতে পারেন যা সবােই মিলে দেখা যায়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Discussion about this post